You are currently viewing ল্যান্ডিং পেইজ কি? ল্যান্ডিং পেইজ কেন বানায়?

সাকিবের কোয়ারেন্টাইন বেশির ভাগ সময় কেটে যাচ্ছে অনলাইনে সার্ফিং করে। সে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক বেশি সক্রিয় আগের যেকোন সময়ের তুলনায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় না দিয়েও উপায় নেই। কারণ তার ইউনিভার্সিটির বেশিরভাগ কার্যক্রম ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে জানানো হয়। ক্লাস জয়েন লিংক থেকে শুরু করে ক্লাসের এসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন সব কিছুর আপডেট মিলে ফেসবুকের পার্সনাল কিছু গ্রুপ বা মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়াতে সার্ফিং এর সুবাদে সে অনেক রকম অফার পেয়ে থাকে বিভিন্ন ওয়েব সাইটে। কখনো প্রোডাক্টের ছাড় বা কখনো ফ্রীতে প্রিমিয়াম ক্লাসে জয়েন, আবার কখনো প্রিমিয়াম ওয়েব সাইট গুলোতে কম টাকায় সাইন আপ এর সুযোগ এমন হাজারটি ‘অ্যাড’ তার চোখে পড়ে সব সময়। 

আজও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আজকে সে ফেসবুকে সার্ফিং করার সময় স্কিলশেয়ার নামক একটা প্রিমিয়াম ওয়েব সাইটের একটা অ্যাড দেখতে পেলো। যেখানে বিজ্ঞাপনটি খুব লোভাতুর ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা তাকে খুব আকর্ষণ করছে ক্লিক করে দেখার জন্য। সে তাদের ঐ ‘অ্যাডে’ দেখতে পেলো- আজকে যদি সে সাইন আপ করে, তাহলে সে প্রথম দু’মাস ফ্রিতে দেখতে পারবে। সাথে আরও লেখা ছিল সে চাইলে যেকোন সময় তার সাবস্ক্রিপশন ডিলিট করে দিতে পারবে। 

ব্যপারটি তাকে খুব আকর্ষণ করায়, সে সাত পাঁচ না ভেবে ক্লিক করে বসলো। তার পর স্কিলশেয়ার তাকে খুব সুন্দর একটি ভিডিও দেখাল। সেখানে যে কোর্সের কথা বলা হয়েছে সাকিবের সেই কোর্সটি করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করতে লাগলো। কিন্তু পরের পেইজে তাকে তার ইমেইল ব্যাংক একাউন্ট এবং মোবাইল নাম্বার দিয়ে সাইন আপ করতে হয়েছিলো ফলে সে ২ মাস ফ্রী তে সাবক্রিপশন পেয়ে গেল। 

এই ধরনের বিজ্ঞাপন আমরা সকলেই দেখে থাকি। আমরা যখন এই ধরণের পেইজে ক্লিক করি তখন সাইন আপের জন্য যে পেইজটি প্রথমে আসে তাকে বলা হয়ে থাকে ল্যান্ডিং পেইজ। আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় নির্ধারণ করেছি ‘ল্যান্ডিং পেইজ কি’ তা নিয়ে। 

ল্যান্ডিং পেইজ কি? 

মার্কেটিং এর ভাষায় ল্যান্ডিং পেইজ বলতে ওয়েবসাইটের একটি বিশেষ পেজকে বোঝায় যেখানে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোন সুনির্দিষ্ট পণ্য বা সেবা অফার করা হয়। ল্যান্ডিং পেজ বানানো হয় মার্কেটিং অথবা অ্যাডভার্টাইজিং ক্যাম্পেইন পরিচালনার উদ্দেশ্যে। বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার পর ভিজিটর প্রথম এই পেজ এ ল্যান্ডিং করার মাধ্যমে ওয়েবসাইট ব্রাউজিং করা শুরু করে বলে একে ল্যান্ডিং পেজ বলে। অর্থাৎ গুগল, বিং, ইউটিউব এবং ফেসবুক বা অন্য কোন বিজ্ঞাপন থেকে ভিজিটরদের লিড কালেক্ট করার জন্য যে পেইজ তৈরি করা হয় বা যে পেইজে ‘অ্যাড’ এর মাধ্যমে ভিজিটরদের ল্যান্ড করানো হয় তাকেই ল্যান্ডিং পেইজ বলে। অনেকে এই ল্যান্ডিং পেইজকে বিভিন্ন নামে চিনে থাকেন যেমন- লিড ক্যাপচার পেইজ, সিঙ্গেল প্রোপার্টি পেইজ, স্ট্যাটিং পেইজ এবং ডেসটিনেশন পেইজ।

এই তো গেলো প্রাতিষ্ঠানিক সংজ্ঞা। যারা আরো বিস্তারিত জানতে আগ্রহী বা  এখনো সংজ্ঞা থেকে ভালো ধারণা নিতে পারেন নি তাদেরকে নিচের অংশটুকু পড়ার অনুরোধ রইলো।

ল্যান্ডিং পেইজ অনেকটা ওয়েব পেইজের মত। এটি ওয়েব সাইটেরই একটি অংশ। তবে ওয়েব পেইজ এবং ল্যান্ডিং পেইজের মধ্যে তফাৎ রয়েছে। সেটি নিয়ে আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করেছি। 

ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইন করা হয় নির্দিষ্ট কোন টপিক কে টার্গেট করে। এটি ডিজাইনের ও বিভিন্ন রকম উদ্দেশ্য রয়েছে। 

এই ল্যান্ডিং পেইজ গুলোর প্রধান উদ্দেশ্য থাকে কনভার্সন রেট বাড়ানোর এবং ওয়েব সাইটের সেলস বাড়ানোর। সাথে বোনাস হিসেবে আরো পাবে ‘লিড/কাস্টমারের ডাটা’ যা পরবর্তীতে টার্গেটেড অডিয়েন্সে পরিনত হয়। নির্দিষ্ট কোনো পন্যের মার্কেটিং এর জন্য যে পেইজ তৈরি করা হয় তাকে বলা হয়ে থাকে ল্যান্ডিং পেইজ।

কনভার্সন রেট 

কনভার্সন রেট

যারা কনভার্সন রেট নিয়ে কিছু জানেন না তাদের উদ্দেশ্য বলছি- কনভার্সন রেট হচ্ছে ওয়েব সাইটের মোট ভিজিটরের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা। ধরুন আপনার ওয়েব সাইটে টোটাল ভিজিটর হচ্ছে ১০০ জন। এর মধ্যে আপনার ওয়েব সাইট থেকে পন্য কিনেছে এই ১০০ জনের ২০ জন। তখন আপনার ওয়েব সাইটের কনভার্সন রেট হবে ২০%।

কেন ল্যান্ডিং পেইজ ব্যবহার করবেন? 

ল্যান্ডিং পেইজের বিভিন্ন রকম সুবিধা রয়েছে যেখানে ল্যন্ডিং পেইজ আপনার ওয়েব সাইটের কনভার্সন রেট বাড়াতে এবং সিপিএ কমাতে সহায়তা করে। 

এই ল্যান্ডিং পেইজের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে কোন একটি নির্দিষ্ট প্রোডাক্টের প্রমোশনাল মার্কেটিং। এটি সবচেয়ে কার্যকর, যখন আপনি আপনার একটি নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট কেন্দ্র করে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন রান করতে চান।
ধরুন, কোনো একটি নিদিষ্ট পন্যের উপর ছাড় দিতে চান। তখন আপনি এই ল্যান্ডিং পেইজ তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে ফলাফল যেটি দাঁড়াবে সেটি হচ্ছে, একে তো আপনার ঐ নির্দিষ্ট পন্যের বিক্রি বাড়বে অপর দিকে আপনার মূল ওয়েব সাইটের ভিজিটর বাড়বে। মানুষজন একটি পন্য কিনতে আসলে অন্য আরেকটি পন্যে কিনতে পারার সম্ভাবনা থাকবে। ফলে ল্যান্ডিং পেইজ বিভিন্ন রকম উপকারে আসে। 

ল্যান্ডিং পেইজ কনভার্সন রেট বৃদ্ধি করে

ল্যান্ডিং পেইজ আপনার ওয়েবসাইটের কনভার্সন রেট বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। এই ল্যান্ডিং পেইজের মাধ্যমে স্পেসিফিক কিছু প্রোডাক্টের অফার এর মার্কেটিং করা যায়। অনেক সময় দেখা যায় পুরো ওয়েব সাইটের মার্কেটিং করলে অত বেশি কার্যকর ফল আসে না যতটা এই ল্যান্ডিং পেইজের মাধ্যমে মার্কেটিং করার ফলে আসে। তাই সকল মার্কেটাররা এই ল্যান্ডিং পেইজ কে পছন্দ করে থাকেন তাদের স্পেসিফিক মার্কেটিং এর জন্য।  

বলছিলাম ল্যান্ডিং পেইজের কনভার্সন রেট বৃদ্ধির কথা। ফলে নির্দিষ্ট একটি পেইজের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের বেচাকেনা বাড়িয়ে তোলা যায় এবং ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানো যায়। পরবর্তীতে অন্যান্য পণ্যের দিকে কাস্টমারকে আকর্ষণ ও করা সম্ভব। কারণ যখন একটি কাস্টমার আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করতে আসবে তখন সে আপনার ওয়েব সাইটে কি কি আছে তা সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা নিয়ে যাবে। ফলে পরবর্তীতে সে আপনার রেগুলার কাস্টমারে রূপান্তর হবে। 

অডিয়েন্স সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে

অডিয়েন্স সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে

ল্যান্ডিং পেইজ ডিজিটাল মার্কেটারদের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয় হওয়ার প্রধান কারণ এই তথ্য সংগ্রহ করা। যাকে ইংরেজিতে বলা হয়ে থাকে লিড জেনারেশন। এই লিড জেনারেট করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে ল্যান্ডিং পেইজ তৈরি করা। এক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কাস্টমারের আগ্রহের বিষয় নিয়ে পরিপূর্ণ ধারণা নেওয়া যায়।  এই ল্যান্ডিং পেইজের মাধ্যমে অডিয়েন্স এর অনেক রকম তথ্য সংগ্রহ করা যায়। তাদের আগ্রহের বিষয় থেকে শুরু করে তাদের ক্লিকের ধরন পর্যন্ত সব রকম তথ্য সংগ্রহ করা যায়। যা পরবর্তীতে ‘টার্গেটেড মার্কেটিং’ করতে বেশ সহায়তা করা থাকে। বর্তমানে বিশ্ব ডাটার উপর নির্ভর করে আছে। যার কাছে যত বেশি ডাটা আছে, সে ততখানি উন্নত করতে পারবে। ২০১৬ সালে এই ডাটা কিভাবে বিশ্ব রাজনীতির দিক পরিবর্তন করে দিয়েছিলো তা সকলের কম বেশি জানা।  এই ডাটা গুলো পরবর্তীতে কাস্টমার গুলোকে নির্দিষ্ট করে দিতে পারে। তাই অডিয়েন্সকে বুঝতে হলে ল্যান্ডিং পেইজ হতে পারে একটি মোক্ষম হাতিয়ার।

ই-মেইল সাবস্ক্রাইবার লিস্ট বাড়াতে পারে

ল্যান্ডিং পেইজের সবচেয়ে বেশি দামি ফলাফল হচ্ছে এই অংশটি, অর্থাৎ আমরা যদি সাকিবের কাছে ফিরে যাই তাহলে বিষয়টি নিয়ে আরো ভালো ধারণা রাখতে পারবো। আমরা শুরুতে দেখেছিলাম সাকিব স্কিল শেয়ার ওয়েব সাইটের কন্টেন্ট যখন দেখতে গিয়েছিলো তখন তাকে ইমেইলের মাধ্যমে সাইন আপ করতে হয়েছিল। ফলে স্কিল শেয়ার সাকিবের এই ইমেইল টি পেয়ে গিয়েছিলো চিরদিনের জন্য। এই ইমেইলের মাধ্যমে স্কিল শেয়ার কোম্পানি সাকিব কে একটি নির্দিষ্ট কাস্টমারে রুপান্তর করে নিয়েছে। অর্থাৎ এর পরবর্তীতে যত বার সাকিবকে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে হবে, তত বার তারা ফ্রিতে সাকিবের কাছে পৌছাতে পারবে শুধুমাত্র সাকিবের ইমেইল একাউন্ট তাদের ডাটাবেজে থাকার কারনে। তাদের পরবর্তী যখন কোন ক্যাম্পেইন চলবে তখন তারা সাকিবের কাছে পোছাতে পারবে কোন রকম মার্কেটিং খরচ ছাড়াই শুধু মাত্র একটি ইমেইল সেন্ড করে দিয়ে। আর বর্তমান সময়ে সবচেয়ে কার্যকরী ক্যাম্পেইন হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং।  ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কাস্টমারের কাছে রিচ করা যায়। আমাদের এই আর্টিকেলে আমরা দেখেছি যুক্তরাষ্টে ৯০% এর ও বেশি মানুষ ইমেইল এ এক্টিভ থাকে। 

তাই বর্তমানে একটি কাস্টমারের ই-মেইলের মূল্য অনেক বেশি। ভবিষ্যতে এটি আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাই যত বেশি ইমেইল কালেক্ট করে নেয়া যায়, তা ভবিষ্যতের জন্য একটি পুজি হয়ে থাকবে। আর ল্যান্ডিং পেইজ আপনাকে ইমেইল লিস্ট বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করবে। যদি আপনি সঠিক ভাবে ল্যান্ডিং পেইজ ডিজাইন করতে পারেন। 

ল্যান্ডিং পেইজের মাধ্যমে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা যায় 

ল্যান্ডিং পেইজ আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের অডিয়েন্স বুঝতে অনেক বেশি সহায়তা করবে। তার পাশাপাশি আপনার ক্যম্পেইন কিভাবে চালাচ্ছেন তা সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবেন। এই ল্যান্ডিং পেইজের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা সেরে নিতে পারবেন। যেমন ধরুন আপনি একটি পন্যের অ্যাড দিলেন, মার্কেটিং ও করলেন, এর কনভার্সন রেট দেখে বলে দিতে পারবেন আপনার এই মার্কেটিং ক্যম্পেইনটি কতটুকু কার্যকরী হয়েছে। কত জন মানুষ এই ল্যন্ডিং পেইজের মাধ্যমে আপনার মেইন ওয়েব সাইটে প্রবেশ করেছে। এই রকম আরো নানান ধরনের জরিপ চালিয়ে আপনার অডিয়েন্সের মস্তিস্কে প্রবেশ করতে পারবেন সহজে। যা আপনাকে আপনার অডিয়েন্স বুঝতে আর ও অনেক বেশি সহায়তা করবে। 

এছাড়া আপনি আপনার ওয়েব সাইটের ডিজাইনে কিছু পরিবর্তন যদি করতে চান, তখন একটি ল্যান্ডিং পেইজ তৈরি করে অডিয়েন্সের ফিডব্যাক নিতে পারেন। এই সমস্ত নানান রকম কারসাজি করা যায় একটি ল্যান্ডিং পেজ ব্যবহার করে। 

আপনার লক্ষ্যের  দিকে কত দূর যাচ্ছেন তা সহজে জানা যায়

 ধরুন আপনার ওয়েবসাইটের এই বছর কতগুলো পন্য পুরোনো হতে চললো, এখন আপনি চাচ্ছেন ফ্ল্যাশ সেলের মাধ্যমে আপনার ঐ সমস্ত পন্য গুলোর বিক্রি বাড়িয়ে দিতে। এখন ল্যান্ডিং পেইজের কনভার্সন রেট দেখে আপনি বলে দিতে পারবেন কতগুলো পন্য বিক্রি হয়েছে আর কত গুলো আরো পন্য বিক্রি হওয়া দরকার। এই ধরণের তথ্য আপনি সহজে জানতে পারবেন এবং পরবর্তীতে এই তথ্যের আলোকে অ্যাকশন নিতে পারবেন, ফলে আপনার অডিয়েন্সকে আরো ভালো ভাবে স্টাডি করতে পারবেন। যা আপনার ওয়েব সাইটের জন্য পরবর্তী করনীয় সম্পর্কে ভালো ধারণা দিতে পারবে। ল্যান্ডিং পেইজের আরো বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। এক একজন ডিজিটাল মার্কেটার এক এক উদ্দেশ্য নিয়ে এই ধরনের ল্যান্ডিং পেইজ তৈরি করেন।

প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের বিস্তারিত আলোচনা আপনাদের ভালো লেগেছে, আমাদের সার্থকতা তখনি সম্ভব, যখন আমাদের তথ্য বা লেখা আপনাদের কাজে আসবে। আপনাদের সৎ পরামর্শ আমাদের একান্তকাম্য, আমাদের কাছে আপনার কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে ইমেইলের মাধ্যমে জানাতে পারেন। 

This Post Has One Comment

  1. Rafee mahmud

    এই পেজ তৈরি করে কিভাবে?

Leave a Reply