আপনার পছন্দের ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করুন
ডোমেইন কি?
ডোমেইন এর বাংলা অর্থ রাজ্য,জমিদারি,খাস জমি, এলাকা ইত্যাদি। ডোমেইন এর কাজ হলো ক্লায়েন্ট কম্পিউটারকে ওয়েব সার্ভারের সাথে যুক্ত করা। যাইহোক এত কঠিন করে বোঝার দরকার নেই, সহজ কথায় ডোমেইন মানে আপনার ওয়েবসাইটের নাম বা ঠিকানা।
আপনার নাম ধরে কেউ ডাকলে যেমন আপনি ডাকে সাড়া দেন, তেমনি ইন্টারনেটে আপনার ডোমেইনের নাম ধরে কেউ ডাকলে আপনার ওয়েবসাইট ডাকে সাড়া দেয়। আবার যেমন আপনার বাসার এড্রেস ধরে ধরে আপনি বাসায় চলে যান, ঠিক তেমনি ডোমেইন এর এড্রেস ধরে আপনার ওয়েবসাইটে চলে যেতে পারবেন।
ডোমেইন হচ্ছে ডিজিটাল দুনিয়ায় আপনার পরিচয়। ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে সর্বপ্রথম যেটার প্রয়োজন হয় সেটা হচ্ছে ডোমেইন। ইন্টারনেটে যত ওয়েবসাইট রয়েছে তার প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা একটি ইউনিক ডোমেইন নেম রয়েছে যেমন:
গুগলের রয়েছে google.com ফেসবুকের রয়েছে facebook.com আইটি নাট হোস্টিং এর রয়েছে itnuthosting.com ইন্টারনেটে এমন অসংখ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ওয়েবসাইটকে শনাক্ত করার জন্য ডোমেইন নেম ব্যবহার করা হয়।
http কি?
http এর পূর্ণরূপ হলো (Hyper Text Transfer Protocol) এটি মূলত ওয়েবসাইটের ডাটা ট্রান্সফার করার একটি প্রোটকল। ব্রাউজার থেকে যে কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করলেই http এখন অটোমেটিক অ্যাড হয়ে যায়।
কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য আমরা যখন ব্রাউজারে ডোমেইন লিখে সার্চ করি এবং তারপর ওয়েবসাইটের যা যা তথ্য দেখতে পাই তা সবই Hyper Text. সাধারণত সার্ভারে থাকা ওয়েবসাইটের সকল ডাটা আমরা কোন না কোন ব্রাউজের মাধ্যমে দেখে থাকি, আর এই ডাটা দেখানোর জন্য সার্ভার থেকে ডাটাকে ট্রান্সফার হয়ে ব্রাউজারে আসতে হয়। এই যে সার্ভার থেকে ডাটা ব্রাউজারে আসে এটার একটা নীয়ম আছে যাকে বলা হয় (Protocol)
ওয়েবসাইটের ডাটা সার্ভার থেকে ব্রাউজারে আসা এবং ব্রাউজার থেকে কোন ওয়েবসাইটের ডাটা দেখার রিকোয়েস্ট পাঠানোর এই কাজটিই মূলত http এর মাধ্যমে হয়ে থাকে।
https কি?
https এর পূর্ণরূপ হলো (Hypertext Transfer Protocol Secure) http এর আপডেট ভার্সন হচ্ছে https, এখানে https এর S দ্বারা সিকিউর বোঝানো হয়েছে। https আপনার ব্রাউজার আর সার্ভারের মাঝের সব কিছু এনক্রিপ্টেড করে ডাটা ট্রান্সফার করে, যার ফলে হ্যাকার বা থার্ডপার্টি কেউ আপনার ডাটা সহজে এক্সেস নিতে পারেনা। যেহেতু ডাটা এনক্রিপ্টেড আকারে ট্রান্সফার হয় তাই যদি এক্সসেস পেয়েও যায় তাহলে কি ডাটা ট্রান্সফার হচ্ছে তা বুঝেতে পারেনা। নিচে SSL অধ্যয়ে আমরা https নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
www কি?
WWW এর পূর্ণরূপ হলো (World Wide Web) এটি ওয়েব নামেও পরিচিত। কোন URL এর আগে যখন WWW থাকে সেটি দ্বারা ওয়েবকে নির্দেশ করে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হলো একটি স্টোরেজ সিস্টেম, যেখানে পুরো বিশ্বের ওয়েবসাইট স্টোর থাকে।
১৯৯০ সালে সাইনটিস্ট টিম বার্নার্স-লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) আবিষ্কার করেন যখন তিনি CERN এ কর্মগত ছিলেন। CERN ছিলো সাইনটিস্টদের একটি কমিউনিটি, যেখানে ছিলো ১০০ টি দেশ থেকে প্রায় ১৭০০ জন সাইনটিস্ট।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব তৈরি করা হয়েছিলো সারা বিশ্বের সাইনটিস্টদের মধ্যে পরীক্ষা,নীরিক্ষা, গবেষণার তথ্য আদান প্রদানের জন্য। ২৩ আগস্ট ১৯৯১ সালে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আমাদের অনেকেরই ধারণা ওয়েব আর ইন্টারনেট একই জিনিস। কিন্তু এটা একটা ভুল ধারণা, যদিও ইন্টারনেট এবং ওয়েব একে অপরের সাথে সংযুক্ত। ইন্টারনেট হলো সারাবিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিশাল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে আমরা ডাটা আদান প্রদান করে থাকি। অন্যদিকে ওয়েব হলো কোন ওয়েব সার্ভারে থাকা বিভিন্ন ওয়েব পেজের সমষ্টি, যা আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক্সসেস করে থাকি।
ডোমেইন এক্সটেনশন কি?
কিছু জনপ্রিয় ডোমেইন এক্সটেনশন
- .com
- .net
- .org
- .co
- .io
- .me
- .xyz
সাবডোমেইন কি?
ডোমেইন কেন প্রয়োজন?
আপনি যে প্রয়োজনেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে যান, সর্বপ্রথম যেটা লাগবে তা হলো ডোমেইন। অনলাইনে নিজের অসতিত্ব জানান দেবার জন্য ওয়েবসাইট থাকাটা এখন বলতে গেলে এক প্রকার বাধ্যতামূলক আর ওয়েবসাইট তো ডোমেইন ছাড়া সম্ভব না।
ডোমেইনের চাহিদা এত পরিমাণ যে ইউনিক ডোমেইনগুলো আজ থেকে প্রায় ১৫-২০ বছর আগেই সব রেজিষ্ট্রেশন হয়ে গেছে। বিষয়টা এমন না যে ডোমেইন নিলেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে, আপনি ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করে রেখে পরবর্তীতে যে কোন সময় ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
আবার আপনার অফলাইন ব্যবসা যদি জনপ্রিয় হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ব্যবসার নামে অন্য কেউ ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করে রাখতে পারে। পরবর্তীতে আপনার কাছে চড়া দামে বিক্রি করার উদ্দেশ্য। তাই অন্য কেউ রেজিষ্ট্রেশন করার আগেই আপনার ব্যবসার নামে নিজেই ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করে রাখা উচিত। মনে আছে? আমরা বইয়ের শুরুতেই বলেছিলাম ডোমেইন এর একটা অর্থ জমি, হ্যাঁ ডোমেইন হচ্ছে ফিউচারের সম্পদ। জমি কেন প্রয়োজন আশা করছি আপনে তা ভালো করেই জানেন।
ডোমেইন নেম কেন তৈরি করা হয়েছিলো?
ইন্টারনেট হচ্ছে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা বড় কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে যোগাযোগ করা যায়, ডাটা আদান প্রদান করা হয়। এই নেটওয়ার্কের প্রত্যেকটি কম্পিউটারকে সনাক্ত করার জন্য আলাদা আলাদা আইপি এড্রেস রয়েছে। যেমন একটি আইপি এড্রেস: 157.240.1.35
এই আইপি এড্রেস ধরেই কিন্তু ওয়েবসাইটে ভিজিট করা যায়। উপরের যেই আইপি এড্রেস উদাহরণসরূপ দেখিয়েছি সেটা ফেসবুকের আইপি এড্রেস। 157.240.1.35 এই আইপি যদি আপনার ব্রাউজারে URL বারে নিয়ে গিয়ে Enter প্রেস করেন তাহলে দেখবেন ফেসবুকের ওয়েবসাইটে নিয়ে গিয়েছে।
এখন সবার পক্ষে এই কঠিন আইপি এড্রেস মনে রাখা সম্ভব নয়, আবার আইপি এড্রেস মাঝেই মাঝেই চেঞ্জ হয়। ইন্টারনেটে এমন হাজার হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে মনে রাখলেও বা কয়টি আইপি মনে রাখা যাবে? তাই এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যই ডোমেইন নেম সিস্টেম বা DNS তৈরি হয়েছিলো। যেখানে কোন আইপি এড্রেস মনে রাখতে হয়না ডোমেইন নেম মনে রাখলেই হয়।
DNS
DNS এর পূর্ণরুপ হল (Domain Name System) আইপি এড্রেস মনে রাখার ঝামেলা দূর করার জন্যই ডোমেইন নেম সিস্টেমের আবিষ্কার হয়েছিলো। বর্তমানে ওয়েবসাইটে ডোমেইন নেম ব্যবহার করা হলেও মূলত কোন একটি আইপির মাধ্যমে ওয়েবসাইট লোড হয়।
কোন আইপি থেকে ওয়েবসাইট লোড হবে তা একটা ডাটাবেজে স্টোর করে রাখা হয়। পাশাপাশি ওয়েবসাইট রিলেটেড আরো অনেক রেকর্ড একই ডাটাবেজে স্টোর করে রাখা হয় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়।
কোন ভিজিটর যখন ওয়েবসাইট ভিজিট করবে তখন সেই ডাটাবেজ থেকে ভিজিটরের ওয়েব ব্রাউজার আইপি সংগ্রহ করবে এবং ওই আইপির আওতায় থাকা নিদির্ষ্ট ওয়েবসাইটের ডাটাগুলো ব্রাউজারে শো করবে।
DNS এর এই ডাটাবেজে শুধু IP থাকে না পাশাপাশি মেইল আদান প্রদানের জন্য MX রেকর্ড, বিভিন্ন ধরণের ভেরিফিকেশনের জন্য TXT রেকর্ড, এসএসএল সার্টিফিকেট ভেরিফাই করার জন্য CAA রেকর্ডসহ আরো অনেক রেকর্ড থাকে যেমন:
- AAAA
- CNAME
- NS
- PTR
- SRV
- SOA
- DS
- DNSKEY
নেম সার্ভার
আগের অধ্যয়ে আমরা জেনেছিলাম আইপি এড্রেস মনে রাখা কঠিন তাই ডোমেইন নেম সিস্টেম বা DNS তৈরি করা হয়েছিলো। ঠিক একই রকম DNS এর একসাথে সবগুলো রেকর্ড অ্যাড করা কঠিন তাই এই সমস্যা সমাধান করার জন্য তৈরি হয়েছে ডিএনএস ডাটাবেজ। এই ডাটাডেবজ কে ডোমেইনের সাথে কানেক্ট করা হয় নেম সার্ভার দিয়ে। এখন প্রশ্ন হতে পারে নেম সার্ভার দিয়ে কি হোস্টিং এর সাথে কানেক্ট করা যায়? হ্যাঁ, নেম সার্ভার দিয়ে ডোমেইন হোস্টিং এর সাথে কানেক্ট করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে আপনার হোস্টিং এর আইপি অবশ্যই A রেকর্ড হিসেবে আপনার DNS ডাটাবেজে অ্যাড থাকতে হবে।
ডিএনএস প্রপাগেশন
ডোমেইনের আইপি বা কোন রেকর্ড চেঞ্জ অথবা আপডেট করা হলে তা একই সাথে সারা বিশ্বে চেঞ্জ হয়না, কিছুটা সময় লাগে। কারণ ডোমেইনের ডিএনএস সার্ভার থেকে ইউজার পর্যন্ত অনেকগুলো ক্যাশিং সার্ভার ব্যবহার করা হয়, যেখানে ওই ডোমেইনের ডিএনএস রেকর্ডগুলো স্টোর থাকে। একই সাথে অনেকগুলো সার্ভারে এই রেকর্ড স্টোর থাকার কারণে যখন তা পরিবর্তন করা হয় তা সাথে সাথে সবগুলো সার্ভারে পরিবর্তন হয়না, সবগুলো সার্ভারে পরিবর্তন হতে সময় লাগে। আপডেট হতে এই যে সময় লাগে এটাই মূলত ডিএনএস প্রপাগেশন পিরিয়ড।
সাধারণত কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডিএনএস প্রপাগেশন হয়ে যায়, তবে সবোর্চ্চ ৭২ ঘণ্টা সময়ও লাগতে পারে। এটি আসলে কয়েকটা বিষয়ের ওপর নির্ভর করে যেমন: ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার (ISP), ডোমেইন রেজিষ্ট্রি, ডিএনএস রেকর্ডের TTL ভ্যালু ইত্যাদি। ডিএনএস প্রপাগেশনের এই সময়টাতে ইউজার সাময়ীকভাবে ওয়েবসাইট ভিজিট করতে প্রবলেম ফেস করতে পারে, তবে ডিএনএস প্রপাগেশন সম্পূর্ণ হবার পর তা অটোমেটিক ঠিক হয়ে যায়।
ডোমেইন প্রাইভেসি প্রোটেকশন
আপনি যখন ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করেন তখন আপনার কিছু পারসোনাল ইনফরমেশন শেয়ার করতে হয় যেমন: নাম, ঠিকানা,ইমেইল, মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি। রেজিষ্ট্রি থেকে এই ইনফরমেশনগুলো সাধারণত পাবলিকলি শো করা থাকে। যার কারণে হ্যাকার বা থার্ড পার্টি কেউ সহজেই Whois Checker থেকে ডোমেইন ওনারের যাবতীয় ইনফরমেশন নিয়ে অসাধু কোন কাজে ব্যবহার করতে পারে।
এই ইনফরমেশন হাইড করে রাখাকে ডোমেইন প্রাইভেসি প্রোটেকশন, Whois Protection বা আইডি প্রোটেকশন বলে। ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করার সময় অতিরিক্ত ফি দিয়ে এই প্রাইভেসি প্রোটেকশন নিতে হয়। আবার কিছু কিছু প্রোভাইডার প্রাইভেসি পোটেকশন প্রথম বছরের জন্য ফ্রি দিয়ে থাকেন।
এই ওয়েবসাইটগুলো থেকে ডোমেইন এর Whois চেক করতে পারবেন:
- https://who.is/
- https://domaincheckerbd.com/
- https://www.whois.com/
- https://www.domain.com/whois/
ডোমেইন এ প্রাইভেসি প্রোটেকশন এনাবল থাকলে ইনফরমেশন এমনভাবে শো করবে।
ডোমেইন এ প্রাইভেসি প্রোটেকশন এনাবল না থাকলে যাবতীয় ইনফরমেশন এমন শো করবে।
ICANN কি?
ICANN এর পূর্ণরূপ হলো: (Internet Corporation for Assigned Names and Numbers) এটি একটি অমেরিকান ননপ্রফিট অর্গানাইজেশন। তবে এর কার্যক্রম চালাতে গিয়ে যা খরচ হয় তা বহন করে আমেরিকান একটি মাল্টিস্টেকহোল্ডার গ্রুপ। ১৯৯৮ সালে আইক্যান প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্যই ছিলো সিকিউর এবং স্ট্যাবল ইন্টারনেট নিশ্চিত করা।
বর্তমানে ICANN সারা বিশ্বের ডোমেইন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। ইন্টারনেটকে স্ট্যাবল এবং সিকিউর রাখতে কাজ করে আইক্যান। তবে আইক্যান এর মেইন কাজ হলো, রেজিষ্ট্রি অপারেটরদের ও রেজিষ্ট্রারদের নিয়ন্ত্রণ করা এবং কাস্টোমারদের অধিকার ও সেবা নিশ্চিত করা। এছাড়া TLD ডোমেইনের জন্য বিভিন্ন পলিসি তৈরি করে ICANN বর্তমানে যত ডোমেইন প্রভাইডার আছে তাঁরা প্রত্যেকেই ডিরেক্টলি অথবা ইনডিরেক্টলি ICANN দ্বারা স্বিকৃত এবং নতুন যারা ডোমেইন প্রভাইড করতে চায় তাঁদের ও ICANN থেকে অনুমতি নিতে হয়। আইক্যান আছে বলেই আমরা এত সুন্দর গুছানো ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছি।
BTCL
BTCL এর পূর্ণরূপ হলো: বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেড। এটি বাংলাদেশের সবথেকে বড় টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হবার পরেই বিটিটিবি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে বিটিটিবিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী করা হয় এবং এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বিটিসিএল।
BTCL এর প্রধান কাজ টেলিফোন এবং ইন্টারনেট কেন্দ্রিক হলেও তাঁরা বর্তমানে বাংলাদেশের একমাত্র ccTLD ডোমেইন রেজিষ্ট্রার। অর্থাৎ .bd .বাংলা এসব কান্ট্রি লেভেল ডোমেইন একমাত্র তাঁরাই অফিসিয়ালভাবে প্রভাইড করে এবং এই ডোমেইনগুলোর এর জন্য বিভিন্ন পলিসি তৈরি করে থাকে।
সাধারণ অনান্য সব ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করার পদ্ধতি থেকে BTCL এর ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করার পদ্ধতি আলাদা। এইসব কান্ট্রি লেভেল ডোমেইন নিতে হলে BTCL এর বিভিন্ন রুলসের জন্য ইউজারকে অনেক ইনফরমেশন এবং ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়, যা ইউজারের জন্য খুবই বিরক্তিকর।
কান্ট্রি লেভেল ডোমেইন আপনি সরাসরি BTCL থেকে না নিয়ে থার্ড পার্টি প্রভাইডারদের মাধ্যমেও BTCL থেকে নিতে পারবেন। এতে করে প্রসেস অনেক সহজ হয়ে যাবে ইউজারের জন্য। যেমন: আইটি নাট হোস্টিং এর মাধ্যমে আপনি BTCL থেকে .com.bd সহ অনান্য এক্সটেনশনের ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।
রেজিষ্ট্রি
ডোমেইন নেম রেজিষ্ট্রি মূলত একটি অর্গানাইজেশন যারা টপ লেভেল ডোমেইন ম্যানেজ করে থাকে। রেজিষ্ট্রি ডোমেইনের এক্সটেনশন তৈরি করে, ডোমেইনের জন্য বিভিন্ন পলিসি তৈরি করে এবং ডোমেইন সাধারণ পাবলিকের কাছে সেল করার জন্য রেজিষ্ট্রার এর সাথে কাজ করে। যেমন: (VeriSign) .com ডোমেইন এবং ডিএনএস ম্যানেজ করে।
রেজিষ্ট্রার
রেজিষ্ট্রার হলো (ICANN) স্বীকৃতি অর্গানাইজেশন। রেজিষ্ট্রার রেজিষ্ট্রির সাথে কাজ করে সাধারণ ইউজারের কাছে ডোমেইন সেল করার জন্য। যেমন কয়েকটি রেজিষ্ট্রার: GoDaddy,Nmacheap,Bigrock,Name Silo
পার্টনার / রিসেলার
রেজিষ্ট্রার সাধারণ ইউজারের পাশাপাশি ডোমেইন পার্টনার হিসেবে কাজ করে পার্টনার বা রিসেলারদের সাথে। আর পার্টনার বা রিসেলাররা সরাসরি ডোমেইন সেল করে সাধারণ ইউজারের কাছে।
রেজিস্ট্রান্ট
রেজিস্ট্রান্ট হলো ডোমেইনের ওনার, যিনি ডোমেইনটি কিনেছেন বা মালিকানার অধিকার রাখেন।
টপ-লেভেল ডোমেইন (TLD)
TLD হলো ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ স্তরের ডোমেইন। যে ডোমেইন এক্সেটেনশনগুলো টপ লেভেলের সেগুলোকে TLD বা টপ-লেভেল ডোমেইন বলা হয়। বর্তমানে ইন্টারনেটে থাকা অধিকাংশ ওয়েবসাইট টপ-লেভেল ডোমেইন ব্যবহার করে। ১৯৮৫ সালে (IANA) মাত্র ৬ টি টপ-লেভেল ডোমেইন নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে অসংখ্য TLD মার্কেটে এভেইলেভেল রয়েছে। কয়েকটি জনপ্রিয় টপ-লেভেল ডোমেইন: (.com, .org, .net, .edu, .gov, mil) সাধারণ কাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য, কোন অর্গানাইজেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গভমেন্ট প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির কাজে টপ-লেভেল ডোমেইন ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
কান্ট্রি টিপ-লেভেল ডোমেইন (ccTLD)
ccTLD ডোমেইন এক্সটেনশন দিয়ে মূলত কোন একটি নিদির্ষ্ট দেশের কান্ট্রি কোড বোঝানো হয় যেমন: বাংলাদেশের জন্য .com.bd ইন্ডিয়ার জন্য .in আমেরিকার জন্য .us
জেনেরিক টপ-লেভেল ডোমেইন (gTLD)
gTLD মূলত টপ-লেভেল ডোমেইন এক্সটেনশনের মতোই। এটি টপ-লেভেল ডোমেইনের ই একটি অংশ। জেনেরিক টপ-লেভেল ডোমেইন ম্যানেজ করে (IANA) যার মাদার কোম্পানী (ICANN)
সেকেন্ড লেভেল ডোমেইন (SLD)
সেকেন্ড লেভেল ডোমেইন বলতে ডোমেইন এক্সটেনশনের এর আগের অংশটুকু বোঝায়। উদাহরণস্বরূপ: www.itnuthosting.com ডোমেইনের SLD হচ্ছে itnuthosting
আবার কিছু কান্ট্রিকোড সেকেন্ড লেভেল ডোমেইন রয়েছে যেমন: .com.bd, com.uk, .gov.uk, .gov.au
থার্ড লেভেল ডোমেইন
সেকেন্ড লেভেল ডোমেইনের আগের অংশকে থার্ড লেভেল ডোমেইন বলে। যেমন উদাহরণস্বরূপ: www.itnuthosting.com ডোমেইনের www হচ্ছে থার্ড লেভেল ডোমেইন। আবার সাব-ডোমেইনকে ও থার্ড লেভেল ডোমেইন বলে।
প্রিমিয়াম ডোমেইন
অনেক হাই ভ্যালু ডোমেইন আছে যেগুলো পেন্ডিং ডিলেট পিরিয়ড শেষ হবার পর নতুন করে রেগুলার প্রাইজে রেজিষ্ট্রার করার জন্য রিলিজ করা হয়না। বরং সেগুলোকে প্রিমিয়াম ডোমেইন হিসেবে হাই প্রাইজে রেজিষ্ট্রার থেকে বিভিন্ন ডোমেইন মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করা হয়।
তবে মজার বিষয় হলো রেজিষ্ট্রার থেকে যে ডোমেইনগুলো প্রিমিয়াম হিসেবে লিস্ট করা হয় সেই ডোমেইনগুলো যে কেউ চাইলে যে কোন প্রভাইডার থেকে কিনতে পারবে হাই প্রাইজে।
ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন
কিভাবে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করবেন?
ডোমেইন রিনিউ
ইন্টারনেট এবং ইলেকট্রিক বিল যেমন প্রতি মাসে দিতে হয়, ঠিক তেমনি ডোমেইন রিনিউ বলতে সহজ কথায় ডোমেইন এর বিল দেওয়া বুঝায়। কিন্তু ইন্টারনেট এবং ইলেকট্রিক বিল মান্থলি দেওয়া গেলেও ডোমেইন এর বিল সর্বনিম্ন ১ বছরের জন্য দিতে হয় প্রি-পেইড সিস্টেমে এবং ১ বছর পর আবার পুনরায় পরবর্তী বছরের জন্য বিল দিতে হয় অর্থাৎ রিনিউ করতে হয়। ইউজারের ইচ্ছামতো সর্বনিম্ন ১ বছর এবং সবোর্চ্চ ১০ বছরের জন্য ডোমেইন রিনিউ করতে পারে।
ডোমেইন ট্র্যান্সফার
ডোমেইন ট্রান্সফার বলতে এক প্রভাইডার থেকে অন্য প্রভাইডারে মুভ করা বোঝায়। অর্থাৎ ধরুণ আপনি ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করেছিলেন Namecheap এ কিন্তু এখন নেমচীপ বাদ দিয়ে ব্যবহার করতে চান IT Nut তাই আপনার ডোমেইনটি নেমচীপ থেকে আইটি নাট এ নিয়ে আসলেন, এটাকে মূলত ডোমেইন ট্রান্সফার বলে।
তবে নতুন কোন ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করে ৬০ দিনের আগে ট্রান্সফার করতে পারবেন না। কেননা নতুন রেজিষ্ট্রেশন ডোমেইনে ৬০ দিন IRTP ট্রান্সফার লক এনাবল থাকে, তাই ৬০ দিন পর থেকে ট্রান্সফারের অপশন থাকে। কিন্তু যদি কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ট্রান্সফার করার খুব প্রয়োজন পড়ে তাহলে রেজিষ্ট্রার কোম্পানীর সাপোর্টে কথা বলে IRTP লক ডিজাবল করে নিয়ে ট্রান্সফার করা যেতে পারে।
গ্রেস পিরিয়ড
ডোমেইন এক্সপায়ার্ড হবার ৩০-৩৫ দিন পর্যন্ত সময়কালকে গ্রেস পিরিয়ড বলে। ডোমেইন এক্সটেনশন ভেদে এই সময়কাল বাড়তে বা কমতে পারে। এই সময়ের ভেতরে রেগুলার রিনিউ ফি দিয়ে ডোমেইন রিনিউ করা যাবে।
রিডিমশন
গ্রেস পিরিয়ড পার হবার পর পরবর্তী ৩০ দিন পর্যন্ত ডোমেইন রিডিমশন পিরিয়ড। এই সময়ে ডোমেইন রিনিউ ফি এর সাথে ডোমেইন রিস্টোর অতিরিক্ত চার্জ দিতে হয়।
পেন্ডিং ডিলেট
রিডিমশন পিরিয়ড শেষ হবার পর পরবর্তী ৫-৭ দিন এই সময়কালকে ডোমেইনের পেন্ডি ডিলেট পিরিয়ড বলে। এই সময়ে চাইলেও আপনি ডোমেইন রিনিউ করতে পারবেন না, অর্থাৎ আপনি ডোমেইন রিনিউ করার সকল সুযোগ হারিয়ে ফেলেছেন।
ডোমেইন রিলিজ / এক্সপায়ার্ড
পেন্ডিং ডিলেট পিরিয়ড শেষ হবার পর অর্থাৎ ডোমেইন সম্পূর্ণরূপে ডিলেট হয়ে যাবার পর যে কেউ এই ডোমেইন রেগুলার প্রাইজে নতুন করে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবে। এই সময়ে ডোমেইন এক্সপায়ার্ড হয়ে যায়।
ডোমেইন ব্যাকঅর্ডার
ডোমেইন ব্যাকঅর্ডার মূলত একটি মেথর্ড যার মাধ্যমে রেজিষ্ট্রারকৃত ডোমেইন মনিটরিং এবং ট্রাকিং করা হয়। যাতে করে পরবর্তীতে ওই ডোমেইন এভেইলেভল হবার সাথে সাথেই এটি সবার আগে রেজিষ্ট্রেশন করা যায়। ইউজার যখন ডোমেইন রিনিউ না করে পরবর্তীতে তা এক্সপায়ার্ড হয়ে যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এক্সপায়ার্ড হয়ে যাবার সাথে সাথে অনেকেই ডোমেইনটি আবার নতুন করে রেজিষ্ট্রেশন করতে চায়। আর এখানেই ডোমেইন ব্যাকঅর্ডারের কাজ, ডোমেইন ব্যাকঅর্ডারের মাধ্যমে ওই ডোমেইনটি এক্সপায়ারর্ড হবার পর তা আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করতে সাহায্য করবে। ব্যাকঅর্ডার ডোমেইনের মূল রেজিষ্ট্রি সহ থার্ড পার্টি প্রোভাইডারদের মাধ্যমেও করা যায়। ডোমেইনের মূল রেজিষ্ট্রি মানে যেখানে অলরেডি ডোমেইন রেজিষ্ট্রার আছে সেখান থেকে ব্যাকঅর্ডার করলে তা পাবার সম্ভবণা বেশি থাকে।
ডোমেইন ট্রেডমার্ক
বড় বড় কোম্পানী তাদের বিজনেসের নাম পেটেন্ট করে রাখে। এই পেটেন্ট করা নামের ওয়ার্ডের সাথে মিল রেখে বা কপি করে কেউ ডোমেইন কিনলে সেটা ট্রেডর্মাক এর মধ্যে পড়বে।
ট্রেডমার্ক ডোমেইন কখনোই কেনা উচিত না, কেননা এই ট্রেডমার্কের জন্য কোম্পানী আপনার নামে মামলা পর্যন্ত করতে পারে। এছাড়া ট্রেডমার্ক যুক্ত ডোমেইন যেখান থেকে রেজিষ্ট্রার করা হয়েছে কোম্পানী সেখানে গিয়ে ডিরেক্ট রিপোর্ট করলে ডোমেইন ডিলেট করে দেওয়া হয়।
ডোমেইন কেনার আগে কিভাবে চেক করবেন?
History চেক
ডোমেইন এর History চেক করে নিন। আপনার পূর্বে কেউ ডোমেইনটি কিনেছিলো কি না? কিনলে সেটি কতদিন ব্যবহার হয়েছে? কতবার কেনা হয়েছে ইত্যাদি বিষয় অবশ্যই চেক করে নিবেন।
আর্কাইভ চেক
পূর্বে যদি কেউ ডোমেইনটি কিনে থাকে, তাহলে কি কাজে ব্যবহার করেছে সেটি চেক করে নিন। যদি খারাপ কোন কাজে এর আগে ডোমেইনটি ব্যবহার হয়ে থাকে, তাহলে ওই ডোমেইন কেনা থেকে বিরত থাকুন।
ফেসবুক ব্লক চেক
যে ডোমেইনটি রেজিষ্ট্রেশন করতে চাচ্ছেন সেটি ফেসবুকে ব্লক আছে কিনা, যাচাই করে নিন। ফেসবুকে ব্লক থাকলে ওই ডোমেইনের কোন কনটেন্ট ফেসবুকে শেয়ার দেওয়া যাবেনা তাই এটি চেক করা জরুরী।
এডসেন্স ব্লক
ডোমেইন টি গুগল এডসেন্সে ব্লক আছে কিনা তা যাচাই করে নিন। যদি ব্লক থাকে তাহলে সেই ডোমেইন দিয়ে এডসেন্স এপ্রুভাল পাবেন না।
ট্রেডমার্ক চেক
ডোমেইনটি কোন কোম্পানীর কপিরাইট বা ট্রেডমার্ক করা আছে কিনা যাচাই করে নিন। যদি ট্রেডমার্ক করা থাকে তাহলে ওই ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করা বিরত থাকুন।
DMCA চেক
যে ডোমেইনটি রেজিষ্ট্রেশন করতে চাচ্ছেন তা অবশ্যই DMCA চেক করে নিবেন। যদি ডোমেইনে কোন DMCA প্যানাল্টি থাকে তাহলে ওই ডোমেইন কেনা যাবে না।
ডোমেইন ফ্লিপিং বিজনেস
ডোমেইন ফ্লিপিং বলতে কোন একটি ইউনিক ক্যারেক্টারের ডোমেইন কিনে রেখে পরবর্তীতে তা বেশি দামে বিক্রি করা বোঝায়। সাধারণত ইউনিক ডোমেইনগুলো এখন আর ফাকা পাওয়া যায়না, আজ থেকে প্রায় ১৫-২০ বছর আগেই ভালো ক্যারেক্টারের ডোমেইনগুলো রেজিষ্ট্রার হয়ে গিয়েছে।
প্রত্যেক ইউজারের ফাস্ট প্রাইরোটি থাকে ইউনিক ক্যারেক্টারের ডোমেইন। এর এত চাহিদা যে বর্তমানে ৪ ক্যারেক্টারের প্রায় সব ডোমেইন ই রেজিষ্ট্রার হয়ে গিয়েছে এবং ৫ ক্যারেক্টারের ডোমেইনগুলো ও প্রায় রেজিষ্ট্রার হবার পথেই।
ডোমেইন ফ্লিপিং বর্তমানে এতটাই জনপ্রিয় যে, এটা একটা বিজনেস মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা সবাই ভালো করেই জানে ডোমেইন হচ্ছে ফিউচার, এ কারণেই এখনো ডোমেইন ইনভেস্টররা প্রতিনিয়ত ডোমেইন কিনছে এবং ডোমেইন ফ্লিপিং মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করে যাচ্ছে।
কয়েকটি জনপ্রিয় ডোমেইন ফ্লিপিং মার্কেটপ্লেস
- https://sedo.com/
- https://dan.com/
- https://auctions.godaddy.com/
- https://www.afternic.com/
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একটি ডোমেইন রেজিষ্ট্রেশন করতে খুব বেশি টাকা লাগে না, কিন্তু এই অল্প টাকার ডোমেইন বদলে দিতে পারে আপনার জীবন। যদি আপনি পর্যাপ্ত রিসার্স করে ইউনিক কোন ডোমেইন বাছাই করতে পারেন।
ডোমেইন ফ্লিপিং বিজনেস বর্তমানে এত জনপ্রিয় কেন তা নিচের একটি ডাটা দেখলেই আশা করি বুঝতে পারবেন।
কয়েকটি হাই প্রাইজ সেলিং ডোমেইন
- Business.com – $345 million
- LasVegas.com – $90 Million
- CarInsurance.com — $49.7 million
- Insurance.com — $35.6 million
- VacationRentals.com — $35 million
- PrivateJet.com — $30.18 million
- Voice.com — $30 million
- Internet.com — $18 million
- 360.com — $17 million
- Insure.com — $16 million
- Fund.com — £9.99 million
- Sex.com — $14 million
- Hotels.com — $11 million
- Porn.com — $9.5 million
- Shoes.com — $9 million
- Porno.com — $8.8 million
- Fb.com — $8.5 million
- We.com — $8 million
- Business.com — $7.5 million
- Diamond.com — $7.5 million
- Beer.com — $7 million
- Z.com — $6.8 million
- iCloud.com — $6 million
- Israel.com — $5.8 million
- Casino.com — $5.5 million
Customer Feedback
Abdur Rouf
SEO Specialist
Can't express the feeling about their service. Fast, reliable. just love to be a customer of this hosting.
Mohammad Asif
Digital Marketer
IT Nut is an awesome company. They are offering Domain and Hosting services at a Very reasonable price with a highly qualified customer supports!
Tithi Mahmud
Author & Content Creator
Excellent..quick and easy to deal with also fast responsive. I am very satisfied with IT Nut Hosting and their services. They are very fast and responsive even at mid night as I knocked them. Their business deal is clean and easy to deal with. Anyway I am satisfied you may try.
Abdul Aouwal
SEO Expert
I strongly believe IT nut hosting is the best hosting in Bangladesh Overall, IT Nut is the a great hosting service provider that I would like to recommend. I have been using their services since 2018. The support is one of the best and level of expertise is great. Other companies can follow their footsteps.
Robin Islam
CEO at BoomDevs
Amazing Support!!
Mohammad Ratan
Affiliate Marketer
Excellent service and support. From my side IT Nut is recommend to everyone. I found my website's performance good after migrating on their server. I also have a domain registered with them. They provide total control of domain including DNS, email, and domain transfer. If you are an internet marketer like me, go for IT Nut.
MD Shafiqul Islam
Web Developer
What I look in a hosting services is how their support is. ITNut hosting One of the best in the market. They are always there to help me with my hosting concerns. Very fast and reliable support. Solve every problem with patience.
Robiul Islam
Founder at Learn With Robiul
Loving there service!
Raymond Romano
American Businessman
My site was in a state of: error establishing a database connection. The chat assistant was able to diagnose & correct the problem within minutes. Thanks for being so prompt in response time too!
Rezaul Karim
Graphic Designer
Awesome interior decoration