WaaS কি? শুরু করুন আপনার ওয়েবসাইট

WaaS কি?

WaaS এর পূর্ণরূপ হলো (Website as a Service) সহজভাবে বললে ওয়েবসাইটের যাবতীয় সলিউশন সার্ভিস রূপে প্রদান করাকেই WaaS বলে, অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের সব ধরণের সলিউশন পাবেন এক জায়গা থেকেই।

WaaS কেন তৈরি করা হলো?

WaaS মডেলটি বলতে গেলে সম্পূর্ণ একটি নতুন কনসেপ্ট। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে মোটামুটিভাবে WaaS এর প্রচালণ শুরু হলেও আমাদের দেশে সেই অর্থে এখনো WaaS এর প্রচালণ শুরু হয়নি। গ্লোবালি WaaS তৈরির উদ্দেশ্য আর আমাদের উদ্দেশ্য একই হলেও পার্থক্য হচ্ছে আমরা WaaS সিস্টেম চালু করেছি প্রধানত উদ্যোক্তাদের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে।

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে বেশ কয়েকটি প্রসেস এর মধ্যে দিয়ে যেতে হয় যেমন: ডিজাইনারের এর সাথে যোগাযোগ করা, ডেভেলোপারের কাছে যাওয়া, এসইও এক্সপার্ট এর সাহায্য নেওয়া, ডোমেইন হোস্টিং কেনাসহ আরো বিভিন্ন প্রসেস থাকে, যা একজন সাধারণ মানুষ যে ওয়েবসাইট সম্পর্কে অবগত নয় তার জন্য বেশ ঝামেলাকর একটি বিষয়।

কিছুদিন আগে একটি রিসার্সে দেখা গেছে ২০২২ সালে এসেও বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩১.৫% মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। এখানে একটা বিষয় লক্ষ্যণীয় যে আমাদের দেশে যেখানে মাত্র ইন্টারনেট রেভুলেশন শুরু হয়েছে, যেখানে অধিকাংশ মানুষ ই এখনো ইন্টারনেটের বাইরে আছে সেখানে ওয়েবসাইট তৈরি করার এই স্টেপ বাই স্টেপ প্রসেসটি সাধারণ মানুষের কাছে কেমন হতে পারে বুঝতেই পারছেন।

WaaS তৈরি করার আগে আমরা ছোট বড় অনেক উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলে দেখেছি সার্ভে করেছি, কেন তাঁরা তাঁদের বিজনেস কে অনলাইনে নিয়ে যাচ্ছে না? কেন ই বা ওয়েবসাইট তৈরির দিকে আগাচ্ছে না? তাঁদের অধিকাংশরই কিছু কমন উত্তর ছিলো:

মাঝারি এবং বড় উদ্যোক্তারা বলেছে: যেহেতু আমাদের ব্যবসা ভালো চলছে তাই ব্যবসায় টাকা ইনভেস্ট করতে কোন সমস্যা নেই, ব্যবসাকে অনলাইনে নিয়ে যাবার ইচ্ছে আছে কিন্তু কিভাবে শুরু করবো সেই উপায় পাচ্ছি না।

কেউ কেউ বলেছেন: আমরা ব্যবসাকে ডিজিটাল করার চেষ্টা করেছিলাম, ওয়েবসাইট তৈরিসহ অনেক কাজ সম্পূর্ণ করেছিলাম, কিন্তু পরবর্তীতে সঠিক গাইডলাইন না পাওয়ায় এবং প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রবলেম সৃষ্টি হওয়ায় পরে আর ওয়েবসাইট নিয়ে সামনে আগাইনি। যদি ওয়েবসাইট ম্যানেজ করার খরচ কম হতো এবং সঠিক গাইডলাইন পেতাম তাহলে আমাদের ব্যবসাও অনলাইনে ছড়িয়ে দিতে পারতাম।

আমাদের দেশে বেকারত্বের অভিশাপ আগে থেকেই ছিলো, করোনা ভাইরাস আসার পর এটি বেড়ে গেছে আরো কয়েকগুণ। করোনাকালে অসংখ্য চাকরিজীবী তাঁদের চাকরি হারিয়েছে। অনেক উদ্যোক্তা তাঁদের ব্যবসায় লস খেয়েছেন।

কিছু ব্যবসায়ী একদিকে যেমন লস গুণছিলো অপরদিকে হঠাৎ করে কিছু কিছু ব্যবসায়ী প্রচুর লাভের মুখ দেখা শুরু করলো এবং এই লাভের পরিমাণ ছিলো অবিশ্বাস্য। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে এই ব্যবসাগুলো বড় কোম্পানীতে পরিণত হয়েছিলো।

সবথেকে মজার বিষয় হলো করোনাকালে যে ব্যবসাগুলো লাভের মুখ দেখছিলো তার অধিকাংশই ছিলো অনলাইন কেন্দ্রিক ব্যবসা। করোনা আসার পর মানুষ ইন্টারনেটের পাওয়ার সম্পর্কে জেনেছে, বুঝতে পেরেছে ই-কমার্স এর গুরুত্ব। বেকারত্বের বোঝা দূর করার জন্য অনেক তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে।

মজার বিষেয় হলো এই তরুণ উদ্যোক্তারা অনলাইন ব্যবসা বিশেষ করে ই-কমার্সের দিকে বেশি ঝুকছে এবং সফলতাও পাচ্ছে। পুরোনো উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বিশেষ করে এই তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যবসাকে বড় করতে হেল্প করার জন্যই মূলত আমরা WaaS তৈরি করেছি।

WaaS কাদের জন্য?

আসলে WaaS কাদের জন্য আর কাদের জন্য না এটার কোন ধারাবাধা নিয়ম নেই। আপনি যেই হোন না কেন, আপনার যদি একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয় তাহলে Welcome আপনাকেই খুঁজছি 🙂 WaaS আপনার জন্যই।

উদ্যোক্তারা তাঁদের ব্যবসাকে অনলাইন ব্যবসায় পরিণত করতে চায়, কিন্তু সঠিক পরামর্শ এবং তাঁদের বাজেট প্রবলেম থাকায় সেটি করতে পারছে না। কেউ কেউ আবার ওয়েব ডেভেলোপারের পিছে ছুটতে ছুটতে নিজেরই ডেভেলোপার হয়ে যাচ্ছে😑 তারপরেও তাঁদের ওয়েবসাইটের সমস্যা সমাধান হচ্ছে না।

আপনি একজন ব্যবসায়ী আপনার ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন, এখন সেই ওয়েবসাইটের জন্য কি ধরণের হোস্টিং দরকার? কোথায় থেকে ডোমেইন হোস্টিং কেনা দরকার? ওয়েবসাইট কি দিয়ে তৈরি করতে হবে? ওয়েবসাইটে কি কি মেইনটেইন করা দরকার ব্লা ব্লা…… এইসব আপনার জেনে কি লাভ ভাই? আপনে তো ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে এসেছেন, ওয়েব ডেভেলোপার তো হতে তো আসেন নাই তাইনা। তো আপনারা যারা ওয়েবসাইট তৈরি করতে এসে নিজেই ওয়েব ডেভেলোপার হয়ে যাচ্ছেন তারপরেও সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন না, যারা তাঁদের ব্যবসাকে অল্প খরচে অনলাইনে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন তাঁদের জন্য WaaS.

WaaS কিভাবে কাজ করে?

সাধারণত নিয়মে ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে প্রথমে ওয়েব ডিজাইনারের কাছে যেতে হয়, ওয়েব ডিজাইনার UI / UX ডিজাইন তৈরি করে দেয় এরপর সেই ডিজাইন অনুসারে ওয়েব ডেভেলোপার ওয়েবসাইট ডেভেলোপ করে। আবার ডোমেইন, হোস্টিং কেনার জন্য যেতে হয় হোস্টিং প্রোভাইডারের কাছে, গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাছে এছাড়া এসইও এবং মার্কেটিং করার জন্য যেতে হয় মার্কেটার ও এসইও এক্সপার্টের কাছে। মানে একজন উদ্যোক্তা যখন তাঁর ব্যবসাকে অনলাইনে নিয়ে আসতে চায় তখন তাকে অনেকগুলো স্টেপ পার করতে হয়, বিভিন্ন জায়গায় ছুটতে হয় আর ঠিক এখানেই WaaS ভিন্নভাবে কাজ করে।

কোন উদ্যোক্তা যদি তার ব্যবসাকে অনলাইনে নিয়ে আসতে চায় তাহলে তাকে ডিজাইনার, ডেভেলোপার বা মার্কেটার কারো কাছেই যেতে হবেনা এমনকি হোস্টিং প্রোভাইডারের কাছেও না। কেননা WaaS এর ভেতরেই আপনি ডোমেইন হোস্টিং, ডিজাইন, ডেভেলোপমেন্ট সহ যাবতীয় ডিজিটাল সলিউশন পেয়ে যাবেন খুব কম খরচেই। তাই আলাদা আলাদাভাবে কারো কাছে ছুটতে হচ্ছে না।

ফিচারর্সভেদে আমাদের ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজ তৈরি করা আছে যেমন WaaS Basic এবং WaaS Advanced প্যাকেজে আমরা বিভিন্ন ডিজাইনের আলাদা আলাদা রেডিমেট ওয়েবসাইট আগে থেকেই তৈরি করে রেখেছি। এর মধ্যে থেকে আপনার পছন্দের যে কোন ডিজাইনের ওয়েবসাইটটি বাছাই করবেন, আমরা সেই ওয়েবসাইট আপনার জন্য রেডি করে দিবো এবং ১ বছর ওই ওয়েবসাইট ম্যানেজ করো দিবো।

আপনার যদি আলাদা কাস্টোম ডিজাইনের ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন হয় তো সেটার সলিউশন ও আমাদের কাছে আছে WaaS Custom প্যাকেজ। আপনি কেমন ধরণের ওয়েবসাইট চাচ্ছেন তা আমাদের জানাবেন আমরা আপনার রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী সেই ওয়েবসাইট তৈরি করে দিবো।

WaaS দিয়ে শুরু করুন অনলাইন ব্যবসা

আপনি যদি নতুন উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন বা আপনার অলরেডি যদি অফলাইনে ব্যবসা থাকে তাহলে WaaS আপনার জন্য বেস্ট সলিউশন। কেননা WaaS এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই শুরু করতে পারবেন আপনার অনলাইন ব্যবসা।

বর্তমানে সাধারণ মানের একটা ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে সব মিলিয়ে মিনিমাম ৪০-৫০ হাজার টাকা লেগে যায়, যা একজন নতুন উদ্যোক্তা বা ছোট উদ্যোক্তাদের পক্ষে এফোর্ট করা সম্ভব নয়। কিন্তু WaaS সিস্টেমে আপনি খুব কম খরচেই শুরু করতে পারবেন আপনার ই-কমার্স সাইট, এছাড়া সাথে থাকবে আরো বিশেষ কিছু সুযোগ সুবিধা।

WaaS এর সুবিধা কি?

WaaS এ কি ধরণের ওয়েবসাইট থাকবে?

WaaS সিস্টেম আমরা মূলত তৈরি করেছি উদ্যোক্তাদের টার্গেট করে, তাই এখানে ই-কমার্স সাইট বেশি থাকবে কিন্তু এর বাইরেও যেসব ওয়েবসাইট WaaS এর মাধ্যমে পাবেন: