ইন্টারনেট যখন আবিষ্কৃত হয় তখন তা একটি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ছিল। ধীরে ধীরে ডাটার চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে ইন্টারনেটের প্রসার ঘটা শুরু করে। একটা সময় ছিল যখন আমাদের হাতে কথা বলার জন্য মোবাইল ফোন বা নিউজ দেখার জন্য টেলিভিশন ছিল না। প্রযুক্তির উন্নতির কারণে আমাদের হাতে হাতে উন্নত প্রযুক্তির স্মার্টফোন চলে এসেছে। আজকাল আর অ্যান্টেনা লাগিয়ে আমাদের টিভি দেখতে হয় না। কারণ ক্যাবল টিভি এবং ইন্টারনেট সব কিছু একদম সহজ করে দিয়েছে। আমাদের আজকের লেখায় আমরা ইন্টারনেটের এই অভূতপূর্ব উন্নতির প্রধান কারণ ডাটাসেন্টার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
Table of Contents
ডাটা সেন্টার কি?
ডাটা সেন্টার এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো তথ্য কেন্দ্র। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় অনেকগুলো ডাটা জমা হওয়ার যে প্রক্রিয়া তাকে সাধারণ অর্থে ডাটা সেন্টার বলে। তবে ইন্টারনেট দুনিয়ায় ডাটা সেন্টার অর্থ আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।
ডাটা সেন্টার হলো একটি নির্দিষ্ট বিল্ডিং যেখানে সার্ভার ও ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে ডাটা সংরক্ষণ ও পরিচালনা করা হয়। একটি ডাটা সেন্টারে অনেক গুলো সার্ভার থাকে যারা নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্ক দ্বারা সংযুক্ত থাকে। আমরা যখন ব্রাউজারে কোন URL প্রবেশ করি তখন তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডাটা সেন্টারে প্রবেশ করে এবং সেখানে প্রসেস হয়ে আবার আমাদের কাছে চলে আসে।
অবকাঠামো: আমরা জানি একের অধিক সার্ভার নিয়ে ডাটা সেন্টার গঠিত হয়। এখানে একের অধিক অর্থ ১০ হাজার হতে পারে অথবা ১০ লাখ। এখন এই বিশাল পরিমাণ সার্ভার ২৪/৭ নিরবিচ্ছিন্নভাবে সচল রাখার জন্য অনেকগুলো পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। তাদের মধ্যে অবকাঠামো সবার প্রথমে আসে।
সাধারণত ডাটা সেন্টারে সার্ভারগুলো ক্রমিক আকারে সাজিয়ে রাখতে হবে। সার্ভারগুলোকে সাজাতে প্রয়োজন পরবে সঠিক মাপের চাহিদা মত সার্ভার র্যাকের। এই র্যাক গুলোকে স্টোরেজ সিস্টেমে রাখতে হলে দরকার পরবে বড় গোডাউনের মত বিল্ডিং এর।
বিল্ডিং তৈরি করতে হবে এমন জায়গায় যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা প্রায় ০% থেকে ৫%। কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে বন্যা ডাটা সেন্টারের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ক্ষতি সাধন করবে। এছাড়া অনেক বড় জায়গা নিয়ে এর ভিত্তি থাকতে হবে যাতে পরবর্তী সময়ে চাহিদা মত ডাটা সেন্টারের ক্যাপাসিটি বাড়ানোর জন্য নতুন বিল্ডিং তৈরি করা যায়।
পাওয়ারঃ একটি তথ্য কেন্দ্র পরিচালনার প্রধান শক্তি হলো পাওয়ার। ডাটা সেন্টারে যে সকল যন্ত্রাংশ থাকে তার প্রায় সবগুলো বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। তাছাড়া পুরো বিল্ডিং এর সকল কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন পরবে।
আমরা যেহেতু জানি যে পাওয়ার ছাড়া সার্ভার, কুলিং সিস্টেম, নেটওয়ার্ক কোন কিছুই কাজ করবে না সেহেতু এর কোন বিকল্প নেই। যাইহোক, প্রতিটি ডাটা সেন্টারে প্রাইমারি পাওয়ার সাপ্লাই সুবিধা সহ সেকেন্ডারি এবং ব্যাকআপ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট থাকতে হবে।
কারণ কোন ধরনের পাওয়ার কাট বা পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সমস্যার ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে সব সার্ভার কাজ করা বন্ধ হয়ে যাবে। এতে উক্ত ডাটা সেন্টারে অবস্থিত সকল সার্ভারের সার্ভিস গুলো ডাউন হয়ে যাবে। যা কখনই কাম্য নয়। এ কারণে প্রতিটি ডাটা সেন্টার স্থাপন করার আগে পাওয়ার সাপ্লাই ইনফ্রাক্টাচার সম্পর্কে সিওর হয়ে নিতে হবে। যে কারণে প্রতিটি সেন্টার পাওয়ার সমস্যা সমাধানের জন্য UPS, জেনারেটর ও পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন ইউনিট (PDUs) সিস্টেম ব্যবহার করে। এতে নেটওয়ার্ক ডিভাইস, সার্ভার, কুলিং সিস্টেম সহ সকল ইলেকট্রিক পণ্য পর্যাপ্ত পাওয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়।
নেটওয়ার্কঃ ইন্টারনেট হলো ডাটা সেন্টারের হার্ট। ডাটা সেন্টারগুলোতে যে সার্ভার বসানো থাকে সেগুলো থেকে ডাটা আদান-প্রদান সহ যাবতীয় কাজ করার জন্য প্রয়োজন হলো ইন্টারনেট। আর এই ইন্টারনেট কানেক্ট করার জন্য ঝামেলাহীন একটি নেটওয়ার্কিং অবকাঠামো ইন্সটল করতে হবে।
সার্ভার গুলো তাদের নিজেদের মধ্যে কমিউনিকেশন করার জন্য একটি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। এই নেটওয়ার্ক এর সাথে ইন্টারনেট জুড়ে দিলে উক্ত ডাটা সেন্টারের ডাটা গুলো ইন্টারনেটে অবস্থিত ইউজার গুলো অ্যাক্সেস করতে পারবে। এখন সঠিক ভাবে নেটওয়ার্ক সেটআপ করতে না পারলে যেমন হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তেমনি সার্ভার ইরর বা ডাউন হয়ে থাকবে। এ কারণে সেন্টারগুলোতে উন্নত মানের রাউটার, নেটওয়ার্ক সুইচ ও ফায়ারওয়াল সহ নেটওয়ার্ক যন্ত্রাংশ ইউজ করা হয়।
কুলিং সিস্টেমঃ একটি ডাটা সেন্টারে একই সাথে অনেকগুলো সার্ভার ২৪ ঘণ্টা সচল থাকে। এই অনবরত চলার কারণে প্রতিটি সার্ভারে তাপ উৎপন্ন হয়। এখন কোন পদ্ধতি ইউজ না করে যদি তাপ নিয়ন্ত্রণ করা না হয় তাহলে হার্ডওয়্যার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়া শর্ট-সার্কিট সমস্যার কারণে আগুন লেগে সব কিছু ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। যে কারণে প্রতিটি ডাটা সেন্টারকে তাপ নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করতে হয়। অর্থাৎ তাপ নিয়ন্ত্রণ করার সব রকমের হার্ডওয়্যার ইন্সটল করতে হয়। এতে পুরো বিল্ডিং এর ভেতর প্রয়োজন মত কৃত্রিম তাপ মেইন্টেইন করা হয়। সাধারণত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এয়ার কন্ডিশন, কম্পিউটার রুম এয়ার হ্যান্ডলার (CRAHs) ও চিলার তাপ নিয়ন্ত্রক ইউজ করা হয়।
সিকিউরিটিঃ ডাটা সেন্টারে সাধারণ থেকে অনেক হাই প্রোফাইল ডাটা স্টোর থাকে। যে ডাটা গুলো ডিলিট বা নষ্ট হয়ে গেলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। এই ডাটা গুলো নিরাপদ রাখার জন্য অনলাইন এবং অফলাইন দুই ধরনের সিকিউরিটির ব্যবস্থা করতে হবে।
Data Center গুলিতে সাধারণত মিলিটারি গ্রেড সিকিউরিটি স্থাপন করা হয়। এতে অনুমতি ব্যাটিত কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া DDoS অথবা হ্যাকার প্রতিরোধ করার জন্য বিশ্বসেরা সিকিউরিটি সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।
সিকিউরিটি সহ অন্যান্য ফিচার বিবেচনা করে ভালো ডাটা সেন্টার চিহ্নিত করার জন্য ১ থেকে ৪ মাত্রা দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ টিয়ার ১ সার্টিফাইড ডাটা সেন্টার থেকে টিয়ার ৪ ডাটা সেন্টার অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ।
ব্যাকআপঃ প্রতিটি ডাটা সেন্টারের প্রাণ হলো ডাটা। আধুনিক ডাটা সেন্টার কোম্পানি গুলো তাদের প্রধান ডাটা সেন্টারের পাশাপাশি মিরর ডাটা সেন্টার তৈরি করে। যেখানে প্রধান সেন্টারে কোন ডাটা আপলোড বা মডিফাই হলে তা উক্ত মিরর সেন্টারে একই সময় মডিফাই হবে।
এতে কোন কারণবশত একটি সেন্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তা ব্যাকআপ সেন্টার থেকে সার্ভিস প্রদান করা যাবে। বর্তমান সময়ে সব থেকে রিলায়েবল ব্যাকআপ সিস্টেম হচ্ছে ক্লাউড। প্রতিটি ডাটা সেন্টার কোম্পানি তাদের ব্যাকআপ রাখার জন্য AWS, Azure সহ অন্যান্য ক্লাউড সিস্টেমে ব্যাকআপ রাখছে।
ডাটা সেন্টার হওয়ার পূর্বশর্ত
শুধু সার্ভার থাকলেই যে Data Center হবে তা কিন্তু নয়। ডাটা সেন্টার হওয়ার বেশ কয়েকটি শর্ত আছে যা পূরণ করতেই হবে। যেমন ডাটা সেন্টার এমন একটি জায়গায় হতে হবে যেখানে কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মানবসৃষ্ট দুর্যোগ হয় না। যদিও তেমন কিছু হয় তবে তা একদম ৫% এর ও কম। তারপর কুলিং সিস্টেম হতে হবে একদম টপ ক্লাস। কারণ সার্ভার গুলো ২৪/৭ চলার কারণে যে হিট তৈরি হবে তা সবসময় সহনীয় তাপমাত্রায় রাখতে হবে।
না হলে পুরো কাঠামো ড্যামেজ হয়ে ডাটা সেন্টার অকেজো হয়ে যাবে। সার্ভার সহ অন্যান্য অপারেশনাল যন্ত্রাংশ পরিচালনার জন্য প্রয়োজন পরবে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ। পাওয়ার ম্যানেজমেন্টের উপর নির্ভর করে গোটা অবকাঠামো সচল থাকে। সার্ভার গুলো ২৪/৭ সচল রাখার জন্য প্রধান পাওয়ার সিস্টেমের সাথে সাথে ব্যাকআপ পাওয়ার সিস্টেম থাকতে হবে।
নেটওয়ার্কিং ডাটা সেন্টার বা ইন্টারনেটের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা জানি ডাটা সেন্টারে অনেকগুলো সার্ভার একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং একে অপরের সাথে ডাটা শেয়ার করে। এখন ডাটা সেন্টারকে তার প্রধান উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হতে হবে। প্রোপার নেটওয়ার্কিং না থাকলে সার্ভার গুলো যেমন নিজেদের মধ্যে কমিউনিকেট করতে পারবে না তেমনি ইন্টারনেটের সাথেও সংযুক্ত হতে পারবে না। এই কারণে ত্রুটি মুক্ত নেটওয়ার্কিং অবকাঠামো তৈরি করে তা সঠিক ভাবে ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে।
প্রতিটি Data Center তথ্য ও উপাত্তের একটি বিশাল কারখানা। সেখানে সব ধরনের ইন্ডিভিজুয়াল ডাটা সহ সরকারি ডাটা থাকে। তাই এই ডাটা গুলো সুরক্ষিত রাখার জন্য অনলাইন সিকিউরিটির পাশাপাশি অফলাইন সিকিউরিটির ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিশেষ করে সন্ত্রাসী গ্রুপ বা গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এ সকল ডাটা রক্ষা করার জন্য অনেক কড়া সিকিউরিটি রাখতে হবে।
ডাটা সেন্টার এর কাজ কি?
ডাটা সেন্টারের প্রধান পরোক্ষ কাজ হলো ইন্টারনেট সচল রাখা এবং প্রত্যক্ষ কাজ হলো ডাটা স্টোর করা। ইন্টারনেটে পাওয়া যায় এমন সকল তথ্য বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন ডাটা সেন্টারের সার্ভারে জমা থাকে।
Data Center মূলত একটি রেফ্রিজারেটর বিল্ডিং যেখানে সার্ভার গুলোকে র্যাকের মধ্যে সারি সারি করে সাজিয়ে রাখা হয়। যাতে সার্ভারগুলো তাদের কার্য প্রক্রিয়া একটি স্বাভাবিক তাপমাত্রার মধ্যে পরিচালনা করতে পারে। যেখানে সকল ধরনের ডাটা স্টোরেজ থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্ট, ব্যাকআপ সহ যাবতীয় কাজ করা হয়।
মোটকথা একটি ডাটা সেন্টারের কাজ হলো সার্ভার গুলোকে ৩৬৫ দিন নিরবিচ্ছিন্নভাবে সচল থাকার জন্য পাওয়ার, নেটওয়ার্ক, সিকিউরিটি, কুলিং সিস্টেম এবং অবকাঠামোগত সুবিধা প্রদান করা।
ডাটা সেন্টার কিভাবে কাজ করে?
প্রতিটি ডাটা সেন্টার কয়েকটি কমন নিয়ম অনুসরণ করে কাজ করে। নিচে সে সমস্ত নিয়ম বা কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ডাটা সেন্টারে সাধারণত স্টোরেজ ডিভাইস নেটওয়ার্কিং ডিভাইস সহ অন্যান্য অনেক হার্ডওয়্যার থাকে। প্রথমত সার্ভার গুলো রেডি করার জন্য মাদারবোর্ড, প্রসেসর, র্যাম, স্টোরেজ ইত্যাদি সেটআপ করে নেওয়া হয়। পরে সেগুলো পর্যায়ক্রমে স্টোরেজ র্যাক গুলোয় সাজানো হয়। এখন ধরুন আপনি এখন হোস্টিং প্রভাইডার এবং সিঙ্গাপুরের একটি ডাটা সেন্টারে একটি সার্ভার র্যাক ভাড়া নিতে চান।
ডাটা সেন্টার কর্তৃপক্ষ আপনাকে সেই র্যাক ভাড়া দিয়ে আপনার পছন্দ মত সার্ভার সেটআপ করে দিবে। এখন আপনি চাচ্ছেন ১ টেরাবাইট করে ৫ টা সার্ভার আপনার ভাড়া করা র্যাকে থাকবে। তখন তারা হিসেব করে ৫ টি সার্ভার র্যাকে সেটআপ করবে।
তারপর রাউটার, সুইচ, ফায়ারওয়াল সহ অন্যান্য নেটওয়ার্কিং যন্ত্রাংশ দিয়ে সার্ভার গুলোকে ইন্টারলিঙ্কিং করে তা ইন্টারনেটের সাথে জুড়ে দিবে। তখন আপনি উক্ত সার্ভার স্পেস ব্যবহার করে সার্ভিস দিতে পারবেন।
মোটকথা Data Center কয়েকটি পর্যায়ক্রমিক ধাপে কাজ করে। প্রতিটি সার্ভারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ভিত্তিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কোনো ধরনের ঝামেলা বাদে সব সময় ইন্টারনেটের সাথে কানেক্টেড রাখা হয়। টেম্পারেচার মেইন্টেইন করা হয়।
এই সকল কিছু সঠিকভাবে পরিচালনা করার পর তা প্রান্তিক পর্যায়ে কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ডাটা সেন্টার অনেক বড় একটি প্রোজেক্ট। এখানে ডাটা সংরক্ষণ ও বিপণন করার জন্য পরিচালনা ব্যয় হিসেবে অনেক অর্থ খরচ করতে হয়। তবে খরচ যাই হোক, ইন্টারনেটকে পরিচালনা করতে গেলে এ সকল ডাটা সেন্টারের কোন বিকল্প নেই। কারণ ডাটা সেন্টার না থাকলে আমাদের ডাটা রাখা ও অ্যাক্সেস করার মত সিকিউর পদ্ধতি নেই। অন্যদিকে ডাটা সেন্টার গুলোয় ডাটা অনেক নিরাপদ ও ত্রুটি মুক্ত থাকে। শুধু তাই নয় সেখানে ডাটার পর্যাপ্ত ব্যাকআপ থাকায় কোন দুর্ঘটনায় ডাটা নষ্ট হয় না।