আপনি কি আপনার বিজনেস ইমেইল সার্ভিস নিয়ে ঝামেলার মধ্যে রয়েছেন? ক্লাইন্টকে মেইলের মাধ্যমে রিচ করতে না পেরে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন? তাহলে আপনার বর্তমান ইমেইল হোস্টিং সার্ভিস নিয়ে বিবেচনা করার সময় এখনি। ছোট হোক বা বড় যে কোন বিজনেসের জন্য ইমেইল মার্কেটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু আমাদের পছন্দমত সার্ভিস আমরা খুব কম সময়েই পেয়ে থাকি। আমাদের আজকের লেখায় আমরা বর্তমান সময়ে দাম এবং ফিচারের দিক বিবেচনায় ১০টি সেরা বিজনেস ইমেইল সার্ভিস সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
Table of Contents
Google Workspace
গুগল ওয়ার্কস্পেস একটি ক্লাউড নির্ভর সেবা যা প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য গুগল প্রোভাইড করে থাকে। এটি সাধারনত সকল ধরনের প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপ্লিকেশনের সমন্বিত ভান্ডার। যদি আপনার একটি টিম থাকে তাহলে এই সার্ভিস ব্যবহার করে তাদের সাথে কমিনিকেশন করার পাশাপাশি কাজ বুঝিয়ে দিতে পারবেন। যাইহোক, এখানে আপনি আপনার ডোমেইন অ্যাড করে সহজেই বিজনেসের জন্য ইমেইল সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রধান প্রধান ফিচার
- স্প্যাম এবং ফিশিং এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়
- কাস্টম ডোমেইন অ্যাড করা যায়
- অ্যাকাউন্ট প্রোটেকশন করার জন্য যাবতীয় সুরক্ষা সার্ভিস পাওয়া যায়।
- ৩০ জিবি থেকে শুরু করে ৫ টেরাবাইট পর্যন্ত মেইল হোস্ট করার স্পেস পাওয়া যায়।
সুবিধা
- এদের সার্ভিস অনেক ভালো এবং ৯৯.৯% আপ্টাইম পাবেন। অর্থাৎ আপনার মেইল সার্ভিস সবসময় অনলাইন থাকবে।
- একটি ছোট বিজনেস কে বড় করার জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় টুল প্রয়োজন তার সকল কিছু আপনি এই সার্ভিসের পেছনে পাবেন।
- এদের সার্ভিস প্রাইস সিস্টেম সবার জন্য তৈরি করা। অর্থাৎ আপনার ছোট বা বড় যে কোন কোম্পানি থাকুক তাদের সার্ভিস ইউজ করতে তেমন বেশি অর্থ খরচ করতে হবে না।
অসুবিধা
- একই সার্ভিস দেওয়া অনেক হোস্টিং থেকে এদের প্রাইস একটু বেশি।
- ইন্টারনেট ছাড়া এই সার্ভিস ইউজ করা যায় না। যা বিজনেস মেইল পরিচালনার জন্য একটি সমস্যা।

Rackspace
র্যাকস্পেস একটি স্বনামধন্য বিজনেস ইমেইল হোস্টিং সার্ভিস। ছোট থেকে বড় সকল ধরনের ইমেইল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার জন্য এই সার্ভিস অনেক উপযোগী। তারা তাদের নিজস্ব ইমেইল সার্ভারের পাশাপাশি আউটলুক এর মেইল হোস্টিং সার্ভিস ইউজ করে থাকে। এই কারণে আপনি সবসময় একটি রিলাইয়েবল সার্ভিস পাবেন।
প্রধান প্রধান ফিচার
- স্প্যাম এবং ফিশিং এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
- মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশন গুলোর সাথে ব্যবহার করা যায়।
- অতি সহজে অ্যাকাউন্ট সেটআপ ও মাইগ্রেশন করা যায়।
- ২৫ জিবি পর্যন্ত মেইল হোস্ট করার স্পেস পাওয়া যায়।
সুবিধা
- অন্যান্য সার্ভিসের মতই রিজনেবল প্রাইস।
- পৃথিবীর বিভিন্ন যায়গায় ডাটা সেন্টার থাকায় ভিন্ন ভিন্ন সার্ভার লোকেশন পাওয়া যায়।
- ২৪/৭ তাদের সাপোর্ট সিস্টেম খোলা থাকে।
অসুবিধা
- মাইগ্রেশন সুবিধা থাকলেও অনেক সময় প্রোভাইডার পরিবর্তন করতে গেলে সমস্যা দেখা দেয়।
- অন্যান্য সার্ভিসের তুলনায় তারা অনেক কম ফিচার প্রোভাইড করে।
ওয়েব মেইল কি? ওয়েব মেইল কিভাবে তৈরি করে?
Microsoft 365
মাইক্রোসফট ৩৬৫ একটি অতি পরিচিত ও পপুলার সার্ভিস। আপনি যদি আপনার ক্লাইন্ট কে হাই কোয়ালিটি ইমেইল পাঠাতে চান তাহলে এই সার্ভিস আপনার জন্য উপযুক্ত। এখানে আপনি একাধারে যেমন স্পেস বেশি পাবেন তেমনি বিজনেস গ্রো করার জন্য প্রয়োজনীয় ফিচার সাপোর্ট পাবেন।
প্রধান প্রধান ফিচার
- মেইলবক্স রিয়েল টাইমে মনিটর করতে পারবেন যা স্প্যাম বা হ্যাকিং রোধ করতে সহায়তা করে।
- একই সাথে অনেক গুলা ডিভাইস এবং প্লাটফর্মে কাজ করে।
- স্কাইপ এবং এমএস সুইট অটো ইন্টিগ্রট করা যায়।
- Clipchamp দ্বারা ভিডিও প্রসেসিং সার্ভিস পাওয়া যায়।
- ১ টেরাবাইট পর্যন্ত ক্লাউড স্টোরেজ পাওয়া যায়।
সুবিধা
- অনেক গুলো প্রয়োজনীয় ফিচার পাওয়া যায়।
- মেইল এবং আট্যাচমেন্ট স্টোর করার জন্য ১ টেরাবাইট পর্যন্ত ক্লাউড স্টোরেজ পাওয়া যায়।
- এই মেইল সার্ভিস তাদের Azure ক্লাউডের উপর নির্ভর করে তৈরি করা, তাই স্পিড এবং আপটাইম নিয়ে তেমন চিন্তা করেতে হয় না।
অসুবিধা
- একই ধরনের অন্যান্য সার্ভিসের থেকে এর দাম অপেক্ষাকৃত বেশি।
- এটি পুরোটাই ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ আপনি ইন্টারনেট ছাড়া এই মেইল সার্ভিস ইউজ করতে পারবেন না।
- সফটওয়্যারটি অনেক ভারি যা পুরাতন ও কম কনফিগের ডিভাইসে চালানো অনেক কষ্টসাধ্য।

Joho Mail
এটাকে গুগল এবং মাইক্রোসফট ৩৬৫ এর অল্টারনেটিভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য প্রয়োজনীয় অনেক ফিচার এখানে পাওয়া যায়। পাশাপাশি আপনি আপনার বিজনেসের জন্য একে ইউজ করতে পারবেন।
প্রধান প্রধান ফিচার
- SecurePass নামক ফিচার মেইলবক্সে একটি এক্সট্রা সিকিউরিটি লেয়ার অ্যাড করে। যা পুরো মেইল সার্ভিসের সিকিউরিটি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।
- আপনি ১ জিবি পর্যন্ত ফাইল অ্যাটাচমেন্ট হিসেবে অ্যাড করতে পারবেন।
- প্রতিটি ইউজার ৫০ জিবি পর্যন্ত স্পেস ব্যবহার করতে পারবে।
- মেইল সার্ভিসের পাশাপাশি এখানে আপনি ভিডিও মিটিং ও ফাইল ম্যানেজার সহ অনেক ফিচার পাবেন।
- মেইল ক্লাইন্টে IMAP ও POP অ্যাক্সেস পাওয়া যায়।
সুবিধা
- অন্যান্য সার্ভিস বিবেচনা করলে এর প্রাইস অনেক কম।
- iOS ও Android ইউজারদের জন্য মোবাইল অ্যাপ আছে।
- মেইলবক্সে 2FA এবং S/MIME সিকিউরিটি সার্ভিস রয়েছে।
অসুবিধা
- কোন থার্ড-পার্টি অ্যাপ্লিকেশান অ্যাড করতে গেলে ঝামেলা পোহাতে হয়।
- কাস্টম ইমেইল ডোমেইন সার্ভিস প্রতিযোগিতায় এটি গুগল ও মাইক্রোসফটের সাথে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে আছে।
- ব্যাসিক অনেক ফিচার থাকলেও অ্যাডভানস ফিচারের ক্ষেত্রে এটি আদর্শ চয়েস না।
SendGrid
এটি একটি ক্লাউড নির্ভর SMTP সার্ভিস প্রোভাইডার। এখানে আপনি ইমেইল সার্ভার তৈরি না করেই এদের ফিচার ইউজ করে মেইল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে পারবেন। এখানে রিয়েল টাইম অ্যানালিটিকাল ডাটা পাওয়ার সাথে সাথে রেপুটেশন মনিটরিং টুল পাবেন।
প্রধান প্রধান ফিচার
- ট্র্যাঞ্জেকশনাল ইমেইল ডেলিভারি সিস্টেম হিসেবে অনেক বিশ্বাসযোগ্য।
- ইমেইল API ইউজ করে থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ইউজ করতে পারবেন।
- প্রতিটি ইউজার ৫০ জিবি পর্যন্ত স্পেস ব্যবহার করতে পারবে।
- ইমেইল ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য সকল প্রয়োজনীয় ফিচার পাওয়া যায়।
- আপনি এখানে বিল্ট-ইন ইমেইল টেম্পলেট পাবেন।
- প্রয়োজনমত টেকনিক্যাল সাপোর্ট পাওয়া যায়।
সুবিধা
- বেশীরভাগ ইমেইল সরাসরি ইনবক্সে যায়।
- সহজে API ও SMTP ইন্টিগ্রেট করা যায়।
- আপনি প্রিমিয়াম সার্ভিস নিতে না চাইলে ফ্রীতে তাদের সার্ভিস পার্মানেন্টলি ব্যবহার করতে পারবেন।
অসুবিধা
- ইউআই বর্তমান সময় হিসেবে তেমন ভালো না।
- এদের সাপোর্ট পেতে অনেক সময় দিনের পর দিন অপেক্ষা হতে পারে।
- সার্ভিস হিসেবে দাম অনেক বেশি।

Postmark
ডেভেলপারদের মাঝে এই মেইল সার্ভিস ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এটি সাধারনত ট্র্যাঞ্জেকশনাল মেইল পাঠানোর উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে তবে আপনি এখানে প্রমোশনাল ইমেইল ক্যাম্পেইনও পরিচালনা করতে পারবেন। ইনবক্স ট্র্যাকিং সহ আরও অনেক উপকারী ফিচার ব্যবহার করতে চাইলে পোস্টমার্ক আপনার জন্য আদর্শ।
প্রধান প্রধান ফিচার
- SMTP ও Rest API ইন্টিগ্রেট করে ব্যবহার করা যায়।
- ইমেইল ক্লিক ট্র্যাকিং, আনসাবস্ক্রাইব ট্র্যাকিং সহ অন্যান্য ডাটা মনিটর করা যায়।
- আপনি চাইলে পেইড অ্যাডঅন ইউজ করে আপনার ক্যাম্পেইনের পারফর্মেন্স বৃদ্ধি করতে পারবেন।
- ইমেইল এবং ফোনের জন্য ডেডিকেটেড সাপোর্ট পাওয়া যায়।
সুবিধা
- আপনার কাজের এবং ক্যাম্পেইনের হিস্টোরি দেখতে এবং কোন সমস্যা থাকলে তা সমাধান করতে পারবেন।
- লিংক ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে একটি ইমেইলের যাবতীয় তথ্য বের করতে পারবেন।
- বাল্ক প্রমোশনাল ইমেইল পাঠানোর পাশাপাশি আপনি একে ট্র্যাঞ্জেকশনাল ইমেইল সার্ভিস হিসেবে ইউজ করতে পারবেন।
অসুবিধা
- দাম হিসেবে তেমন কোন অ্যাডভানস ফিচারস নেই।
- ফ্রী ভার্সনে প্রতি মাসে আপনি মাত্র ১০০ ইমেইল সেন্ড করতে পারবেন।
- ইউআই এবং ড্যাশবোর্ড ব্যাসিক ইউজারের জন্য উপযুক্ত না। অর্থাৎ এটি ম্যানেজ করার জন্য নতুন হিসেবে আপনার সময় নিয়ে শিখতে হবে।
Amazon WorkMail
অ্যামাজন ওয়ার্কমেইল সবার নজর কারার কারণ হচ্ছে এর ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রেড সিকিউরিটি। ডেক্সটপ ভার্সনে মেইলবক্স ইউজ করার পাশাপাশি আপনি মোবাইলেও এটি ব্যবহার করতে পারবেন। একই ধরনের অন্যান্য সার্ভিসের তুলনায় এর প্রাইসিং সিস্টেমটা একদম ইউনিক। অর্থাৎ আপনি পে পার ইউজ পদ্ধতি ব্যবহার করে মেইলবক্স ইউজ করতে পারবেন।
প্রধান প্রধান ফিচার
- মাইক্রোসফট আউটলুকের সাথে কম্প্যাটিবল।
- IMAP সাপোর্ট করে।
- সহজে মাইগ্রেশন করা যায়।
- স্প্যাম এবং ভাইরাস প্রোটেকশন পাওয়া যায়।
- ৫০ জিবি মেইলবক্স স্পেস দেওয়া হয়।
সুবিধা
- AWS সিস্টেমের উপর তৈরি হওয়ায় এই ধরনের সকল সার্ভিসের সাথে ইউজ করা যায়।
- ডাটা এবং মেইলের জন্য S/MIME এনক্রিপশন পাওয়া যায়।
- নতুন ইউজার প্রোফাইল তৈরি করা থেকে টা পরিচালনা করা অনেক সহজ।
অসুবিধা
- অনেক ধরনের ফিচার এবং এক্সটেনশন ইউজ করার ক্ষেত্রে লিমিটেশন আছে।
- থার্ড-পার্টি কোন প্লাগিন বা সার্ভিস ইন্টিগ্রেট করতে গেলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
- মেইল অ্যাড্রেসবুক ম্যানেজ করার সময় নতুন ইউজারদের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
Fastmail
মেইল সার্ভিস গুলোর মধ্যে এটি অনেক পুরাতন। আপনি যদি কম দামের মধ্যে প্রিমিয়াম কোয়ালিটি ব্যবহার করতে চান তাহলে ফাস্টমেইল আপনার জন্য আদর্শ জায়গা। তাছাড়া আপনি এখানে ৩০ দিনের একটি ফ্রী ট্রায়াল পাবেন যা এই সার্ভিস ঘেঁটে দেখার জন্য যথেষ্ট। এটি IMAP ও PGP দুই সার্ভিস ব্যবহার করে।
প্রধান প্রধান ফিচার
- অন্য মেইল সার্ভিস থেকে ইমেইল ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট করতে পারবেন।
- ইমেইল সার্চ করা যায়।
- এন্টি-স্প্যাম প্রোটেকশন পাওয়া যায়।
- ১০০ জিবি পর্যন্ত মেইলবক্স স্পেস পাওয়া যায়।
সুবিধা
- স্মল বিজনেসের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ফিচার পাওয়া যায়।
- অন্যান্য সিকিউরিটি ফিচারের পাশাপাশি 2FA প্রোটেকশন পাওয়া যায়।
- একই ধরনের অন্যান্য সার্ভিসের তুলনায় দাম নাগালের মধ্যে।
অসুবিধা
- এখানে আপনি অ্যাডভানস ইমেইল ফিচারগুলো পাবেন না।
- থার্ড-পার্টি কোন প্লাগিন বা সার্ভিস ইন্টিগ্রেট ব্যবহার করতে সমস্যায় পরতে হয়।
- প্রিমিয়াম ভার্সনে কাস্টম ডোমেইন ইউজ করতে হলে আপনাকে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হবে।
Neo
এই ইমেইল সার্ভিস ফ্রীল্যান্সার, উদ্যোক্তা ও ছোট বিজনেসকে টার্গেট করে তৈরি করা হয়েছে। এতে আপনি .co এক্সটেনশনের একটি ডোমেইন পাবেন। পাশাপাশি মেইল সার্ভিস এবং ক্যাম্পেইন ম্যানেজ করার জন্য প্রয়োজনীয় অনেক ফিচার এবং অ্যাডঅন পাবেন।
প্রধান প্রধান ফিচার
- এদের বিল্ড-ইন সিগনেচার বিল্ডার রয়েছে।
- Android এবং iOS সাপোর্ট রয়েছে।
- এন্টি-স্প্যাম এবং হ্যাকিং প্রোটেকশন রয়েছে।
- ৫০ জিবি মেইলবক্স স্পেস পাওয়া যায়।
সুবিধা
- অন্যান্য সার্ভিস থেকে ফিচার অনুজায়ি দাম হাতের নাগালে।
- কাস্টম ইমেইল ডোমেইন সেট করা যায়।
- ৩০ দিনের ফ্রী ট্রায়াল রয়েছে।
অসুবিধা
- কোন অফলাইন ফাংশন নেই অর্থাৎ ইন্টারনেট ছাড়া ইউজ করা যায় না।
- অনলাইনে অনেক কম রিভিউ রয়েছে।
- প্রিমিয়াম ভার্সনে তেমন কোন অ্যাডভানস ফিচার পাওয়া যায় না।

Mailgun
এটি একটি SMTP ইমেইল সার্ভিস। এটা আসলে কোন ইমেইল সার্ভিস সফটওয়্যার না বরং একটি API সেবা। মেইল গান ইউজ করে আপনি বাল্ক আকারে মেইল সেন্ড করতে পারবেন। এর এক মাসের ট্রায়াল আছে যা দিয়ে আপনি কম পক্ষে ৫০০০ ইমেইল ফ্রীতে সেন্ড করতে পারবেন। অন্যদিকে এই সার্ভিস ইউজ করে আপনি ১$ ডলারে ১০০০ ইমেইল পাঠাতে পারবেন।
প্রধান প্রধান ফিচার
- এদের লাইভ ফোন এবং লাইভ চ্যাট অপশন রয়েছে।
- ৩০ দিনের আক্টিভিটি লগ দেখতে পারবেন।
- কাস্টম অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করার জন্য এদের টেকনিক্যাল অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার রয়েছে।
সুবিধা
- অন্যান্য মেইল সার্ভিসের দামের সাথে তুলনা করলে মেইলগান এর দাম অ্যাভারেজ।
- সকল ধরনের পপুলার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের সাথে কাজ করে।
- ইমেইল ডাটা অ্যানালাইজ করে রিপোর্ট প্রদান করে।
অসুবিধা
- এটি শুধুমাত্র ডেভেলপারদের কথা চিন্তা করে তৈরি করা হয়েছে।
- চাহিদা হিসেবে দাম অনেক বেশি।
উপরিউক্ত আলোচনায় আপনি আপনার বিজনেসের জন্য কোন ধরনের ইমেইল হোস্টিং সার্ভিস নিবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখানে বর্তমান সময়ের সেরা বিজনেস ইমেইল সার্ভিস সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। যা আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।