বর্তমান সময়ে এসইও ইন্ডাস্ট্রি অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আপনি যদি সাম্প্রতিক এসইও ট্রেন্ড সম্পর্কে সচেতন না থাকেন তাহলে কন্টেন্ট অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে আশানুরূপ ফলাফল পাবেন না। এই কথা মাথায় রেখে আমরা আপনার জন্য ৩০+ এসইও পরিসংখ্যান ও ট্রেন্ড ২০২৪ নিয়ে এসেছি। লেখাটি পড়ার পর আপনি সাম্প্রতিক এসইও ট্রেন্ড জানার পাশাপাশি কীভাবে কন্টেন্ট অপ্টিমাইজ করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা পাবেন।
Table of Contents
গ্লোবাল সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটে গুগল ৯০.৫% শেয়ার দখল করে আছে
বাজারে অনেক ধরনের ও পপুলার সার্চ ইঞ্জিন থাকলেও সবথেকে বেশি মানুষ গুগল ইউজ করে। বর্তমানে অনেকেই চ্যাটজিপিটি ইউজ করলেও গুগল তার ইউজার বেস ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে। বিশেষ করে স্মল বিজনেস থেকে শুরু করে ব্লগার বা মার্কেটারদের জন্য অর্গানিক ট্র্যাফিক পাওয়ার জন্য গুগল এখনো বেস্ট।
#১ রাঙ্কিং থাকা কীওয়ার্ডে গুগলের সবথেকে বেশি CTR যা ২৭.৬%
পরিসংখ্যান মতে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ভিজিটর সার্পে থাকা প্রথম ফলাফলে ক্লিক করে। অর্থাৎ আপনার পেজ বা পোস্ট যদিও গুগলের সার্প পেজের #১ এ থাকে তাহলে অন্যান্য পেজ বা পোস্টের থেকে আপনি ২৭.৬% বেশি ক্লিক পাবেন। এখানে সাফল্য পেতে সাইটের টেকনিক্যাল এসইও উন্নত করার পাশাপাশি কন্টেন্ট কোয়ালিটি উন্নত করার দিকে নজর দিতে হবে।
PPC তে ১ ডলার খরচের তুলনায় SEO তে ২.৬৭ তে আরও ভালো ফলাফল বের করা সম্ভব।
পিপিসি পদ্ধতি ইউজ করার মাধ্যমে আপনি অতি দ্রুত ভিজিটর পাবেন। তবে এখানে আপনাকে নিয়মিত অর্থ খরচ করতে হবে যাতে সার্চ ইঞ্জিন আপনার পেজকে সবার প্রথমে বা সার্পে দেখায়। অন্যদিকে আপনি একই কাজ এসইও করার মাধ্যমে করতে পারবেন। বড় কথা এখানে আপনাকে কোন খরচ করতে হচ্ছে না। পাশাপাশি এটি অনেক দীর্ঘ সময় ধরে অর্গানিক ট্র্যাফিক এনে দিবে।

৭০% থেকে বেশি এক্সপার্ট মনে করে এআই সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার আরও বাড়িয়ে দেবে।
গুগলের নতুন এআই সার্চ ফিচার, কোয়েরির উপর নির্ভর করে একটি ছোট সামারি তৈরি করে দেয়। এতে ইউজার উক্ত সার্চ কোয়েরি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারনা লাভ করে। এই কারণে অনেক এসইও এক্সপার্ট মনে করে এই ফিচার থাকার কারণে ভিজিটর আগের থেকে আরও বেশি গুগল ইউজ করবে। অন্যদিকে অনেক এক্সপার্ট মনে করে এতে ওয়েবসাইটে থাকা কন্টেন্টগুলো পিছনে পড়ে যাবে যা ভিজিটরের সমস্যার সমাধানে বাধা তৈরি করবে।
৪৫% SEO স্পেশালিস্ট মনে করে কন্টেন্টে থাকা রিলেটেড কিওয়ার্ড র্যাঙ্কিং বুস্ট করে।
যখন একটি পেজ গুগলে র্যাঙ্ক করে তখন সে শুধু একটি সিঙ্গেল কিওয়ার্ডের জন্য র্যাঙ্ক করে না। এটি তখন উক্ত কন্টেন্টে থাকা রিলেটেড কিওয়ার্ডের উপরে র্যাঙ্ক করে। অর্থাৎ আপনার পোস্ট বা কন্টেন্ট র্যাঙ্ক করানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই কন্টেন্টে রিলেটেড কিওয়ার্ড রাখতে হবে। এতে সার্পে অনেক ভালো র্যাঙ্ক বুস্ট পাওয়া সম্ভব।
একটি স্পেসিফিক কিওয়ার্ডে ১ নাম্বারে থাকা কন্টেন্ট প্রথম পেজে আরও ১০০০ রিলেটেড কিওয়ার্ডের জন্য র্যাঙ্কে থাকতে পারে
এই বিষয়টি সবথেকে বেশি কাজ করে ইনফরমেটিভ কন্টেন্টের জন্য। কারণ আমরা যখন ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট লিখি তা যদি অনেক ওয়েল রিসার্চড হয় তাহলে একই সাথে অনেক গুলো রিলেটেড বিষয় কভার হয়। এতে সার্চ ইঞ্জিন একই পোস্টের কিওয়ার্ড গুলো পিক করে এবং একটা সেম পেজকে আরও অন্যান্য রিলেটেড কিওয়ার্ডের জন্য র্যাঙ্ক দেয়। মোটকথা, কন্টেন্ট তৈরি করার সময় আমাদের এই বিষয় মনে রাখাটা অনেক জরুরী।
কি-ওয়ার্ড কী? Keyword কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এসইও তে ৩% Click-Through Rate (CTR) কে ভালো এসইও বলা হয়
এসইও করার মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর আনা। কারণ যখন একটি ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে তখন উক্ত ওয়েবসাইট তৈরির উদ্দেশ্য পুরন হবে। যাইহোক, সার্পে থাকা পেজের কোন লিংক বা কন্টেন্ট ভালো করছে তা চিহ্নিত করার জন্য আমরা CTR হিসেব করে থাকি। এসইও দুনিয়ায় কোন পেজ যদি ৩% এর মত CTR পায় তাহলে তাকে অনেক ভালো এসইও বলা হয়। অর্থাৎ আপনি যদি আপনার কন্টেন্টে এই পরিমাণ click-through rate নিয়ে আসতে পারেন তাহলে বুজতে হবে আপনার এসইও স্ট্রাটেজী অনেক ভালো কাজ করছে।
ফিচার স্নিপেট মোট ক্লিকের ৪২% কভার করে
এটি একটি সার্প ফিচার যা ভিজিটরের সার্চ রেজাল্টের উপর নির্ভর করে সুন্দর করে উত্তর শো করে। অনেক সময় সার্চ কৃত প্রশ্নের সমাধান এখানেই পাওয়া যায়। এই কারণে বর্তমানে প্রায় ৪২% ক্লিক এখানে চলে যায়। অর্থাৎ আপনার পেজ যদি ফিচার স্নিপেটে থাকে তাহলে সার্পে থাকা অন্যান্য লিংকের থেকে আপনি ৪২% বেশি ক্লিক এবং ভিজিটর পাবেন।
৫৫% এসইও এক্সপার্ট বিশ্বাস করে নিয়মিত হাই কোয়ালিটি পোস্ট করলে দ্রুত র্যাঙ্ক পাওয়া যায়
একটি ওয়েবসাইটের ওভারওল র্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে কন্টেন্ট কোয়ালিটিকে দায়ি করা হয়। অর্থাৎ আপনি যদি নিয়মিত হাই কোয়ালিটি কন্টেন্ট পাব্লিশ করেন তাহলে এটি আপনার পুরো ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিং বৃদ্ধি করতে প্রভাব ফেলবে। প্রায় ৫৫% এসইও এক্সপার্ট এটি নিশ্চিত করেছে।
৬১% বড় বড় সফল কোম্পানিগুলো প্রতি বছর কমপক্ষে ২ বার তাদের কন্টেন্টের এসইও অডিট করে থাকে
কতদিন পরপর আমাদের কন্টেন্টের এসইও চেক করা দরকার তা নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক কনফিউশন থাকে। তবে পরিসংখ্যান মতে বড় বড় কোম্পানি প্রতি বছর কমপক্ষে দুইবার তাদের এসইও অডিট করে থাকে। অর্থাৎ প্রতি বছর তারা কন্টেন্ট কোয়ালিটি এবং নতুন ইনফো অ্যাড করে।
Ahrefs স্টাডিমতে কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন টুল ও র্যাঙ্কিং এর মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই
মার্কেটিং স্ট্রাটেজির কারণে আমরা মনে করি কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন টুল দিয়ে কন্টেন্ট অপ্টিমাইজ করলে দ্রুত র্যাঙ্ক পাবে। তবে Ahrefs এর মতে এটি একটি ভুল ধারনা। এই ধরনের টুলের কন্টেন্ট র্যাঙ্ক করার পেছনে কোন প্রকারের হাত নেই। তবে এই ধরনের টুল অনেক ধরনের সাজেশন দেয় যা আপনার কন্টেন্ট আরও সুন্দর করে গড়ে তোলে। তবে এতে র্যাঙ্ক হওয়ার কোন গ্যারান্টি থাকে না।
গুগল ৬২.৭৮% সময় মেটা ট্যাগ রিরাইট করে থাকে
গুগল চায় তার সার্পে থাকা কন্টেন্ট যেন ভিজিটরের কাজে লাগে। এই কারণে অনেক কন্টেন্টের ক্ষেত্রে যে মেটা ডেসক্রিপশন শো করা হয় তা তারা নিজের মত করে রিরাইট করে থাকে। অর্থাৎ আপনি যে মেটা ডেসক্রিপশন দিবেন তা যদি ইরিলেভেন্ট হয় বা ইউজারের ইন্টেন্ট ফিলাপ না করে তাহলে তা রিরাইট করা হয়। এটা করার আরও একটি কারণ হচ্ছে অনেকেই কিওয়ার্ড স্পুফিং করার মাধ্যমে র্যাঙ্ক হাইজ্যাক করার চেষ্টা করে যা পূর্বে কাজ করলেও এখন করে না।

প্রথম পেজে থাকা #১ পেজ অন্যান্য পেজের থেকে ৩.৮ বেশি ব্যাকলিঙ্ক পায়
গুগলের সার্পে থাকা প্রথম রেজাল্ট অন্যান্য লিংকের থেকে প্রায় ৩.৮ ব্যাকলিংক পেয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনার পেজ যদি #১ পজিশনে থাকে তাহলে আপনার হাই-কোয়ালিটি ব্যাকলিংক পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
৯৩.৮% এসইও বিশেষজ্ঞের মতে লিংকের পরিমাণের থেকে কোয়ালিটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ
পূর্বে একটা সময় ছিল যখন সার্পে র্যাঙ্ক করার জন্য ব্যাকলিংক অনেক কাজ করতো। তখন যার যত বেশি ব্যাকলিংক ছিল তার সাইট তত উপরে থাকতো। তখন ব্যাকলিংকের কোন ধরনের কোয়ালিটি দেখা হত না। যে কারণে PBN বিজনেসের রমরমা বিজনেস চলত। পরবর্তীতে গুগল তাদের আপডেটের মাধ্যমে অনেক কিছু পরিবর্তন করেছে। বর্তমানে ৯৩.৮% এসইও এক্সপার্ট বিশ্বাস করে লিংকের পরিমাণের থেকে কোয়ালিটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
৬৪.৯% লিংক বিল্ডারস অফ-পেজ এসইও এর জন্য গেস্ট পোস্টিং ইউজ করে
অফ-পেজ এসইও এর জন্য গেস্ট পোস্টিং অনেক বেশি কাজ করে। যে কারণে প্রায় ৬৮.৯% লিংক বিল্ডার এই পদ্ধতি ইউজ করে কোয়ালিটি ব্যাকলিংক প্রোফাইল তৈরি করে থাকে।
বর্তমানে ৫৪% ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক মোবাইল থেকে আসে
একটা সময় ওয়েবসাইট ভিজিত করার জন্য সবথেকে বেশি ব্যবহার হত ডেক্সটপ। তবে সময়ের সাথে সাথে মানুষ মোবাইলের দিকে বেশি ঝুকে পরেছে। গুগলের তথ্যমতে মোট ইন্টারনেট ইউজারের মধ্যে প্রায় ৫৪% মোবাইল ইউজ করে ওয়েবসাইট ভিজিট করে। এতে বোঝা যায় গুগল মোবাইলের জন্য অপ্টিমাইজ করা ওয়েবসাইটকে বেশি র্যাঙ্ক দেবে।
দুর্বল UI দেখলে ডেক্সটপ ইউজারদের থেকে স্মার্টফোন ইউজাররা ওয়েবসাইট থেকে বেশি লিভ নেয়

দুর্বল UI ডেক্সটপের থেকে মোবাইলে বেশি খারাপ দেখা যায়। যে কারণে কোন ওয়েবসাইটে যদি বাউন্স রেট বেশি হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে তার ডিজাইন হয়তো আকর্ষণীয় নয় অথবা কন্টেন্ট কোয়ালিটি খারাপ।
গুগলের প্রথম পেজে থাকা ৭২.৬% ওয়েবসাইটে স্কিমা মার্কআপ থাকে
গুগল সার্পে দেখানো রেজাল্টে সে সকল ওয়েবসাইট দেখায় যার স্কিমা মার্কআপ তৈরি করা আছে। কারণ তারা সবসময় চায় ইউজারকে একটি বিশেষ পদ্ধতিতে সাজানো ও গোছানো রেজাল্ট দেখাতে। স্কিমা মার্কআপ তৈরি করা থাকলে এটি সহজ হয়। যে কারণে সার্পে থাকা প্রায় ৭২.৬% ওয়েবসাইটে স্কিমা সেটআপ করা থাকে।
Core Web Vitals (CWV) উন্নিত করার মাধ্যমে বাউন্স রেট অনেক কমানো যায়
কোন ওয়েবসাইটের যখন CWV ভালো হবে তখন ইউজার একটি স্মুথ এক্সপেরিএন্স পাবে। যে কারণে এই ধরনের ওয়েবসাইটে ভিজিটর লম্বা সময় ধরে থাকে এবং বাউন্স রেট অনেক কম হয়।
টেকনিক্যাল এসইও তে 3xx রিডাইরেক্ট সব থেকে বেশি সমস্যা তৈরি করে
টেকনিক্যাল এসইও তে 3xx রিডাইরেক্ট সমস্যা থাকলে তা সার্পে অনেক খারাপ করে। অর্থাৎ যখন আপনি কোন লিংক রিডাইরেক্ট করবেন তখন যদি তা ব্রোকেন লিংকে হয় তাহলে 404 এরর দেখায়। যা এসইও এর জন্য অনেক ভয়ংকর।
ই কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য সবথেকে বেশি ট্র্যাফিক আসে অর্গানিক সার্চ থেকে
ই কমার্স ওয়েবসাইটে সব থেকে বেশি ভিজিটর আসে অর্গানিক সার্চ থেকে। অর্থাৎ এই ধরনের ওয়েবসাইটে যারা আসে তারা সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে তারপর ভিজিট করে। অন্যদিকে এই ধরনের সাইটের প্রোডাক্ট গুলো সার্চইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
ই কমার্স ওয়েবসাইটে কনভার্সন রেট ১.৬% যা PPC এডভার্টাইজিং (১.৩%) থেকেও বেশি
ই কমার্সে পেইড ভিজিটর থেকে যারা অর্গানিক পদ্ধতিতে আসে তারা বেশি পণ্য কেনে। অর্থাৎ যারা সার্চ করে পণ্য দেখে তাদের নেওয়ার সম্ভাবনা একজন পেইড ভিজিটরের থেকে বেশি থাকে।
৪৯% কাস্টমার কম্পিটিটরের ওয়েবসাইটে পজিটিভ প্রাইভেসি এক্সপেরিয়েন্স পেলে মুভ করে
আপনি আপনার ওয়েবসাইটে পজিটিভ ও বিশ্বাসযোগ্য প্রাইভেসি এক্সপেরিয়েন্স নিশ্চিত করতে পারলে আপনার কম্পিটিটর থেকে ৪৯% বেশি ভিজিটর পেতে পারেন। ই কমার্স সাইটের ক্ষেত্রে এই বিষয় সব থেকে বেশি প্রযোজ্য।
ইউটিউব ইন্টারনেটের দ্বিতীয় ভিজিটেড ওয়েবসাইট
অনলাইনে দ্বিতীয় ভিজিটেড ওয়েবসাইট হচ্ছে ইউটিউব। এখানে আপনি যে কোন ভিসয়ের উপরে ভিডিও পাবেন। পাশাপাশি সার্চ বার ইউজ করে গুগলের মত করে ভিডিও খুঁজে বের করতে পারবেন।
আর্টিকেলে ভিডিও থাকলে তা শুধু ভিডিও অথবা আর্টিকেল থেকে ৭০% বেশি অর্গানিক ট্র্যাফিক পায়
একটি আর্টিকেলের ভেতরে যদি লেখার পাশাপাশি ভিডিও দেওয়া যায় তাহলে তা সার্পে অনেক ভালো পজিশনে থাকে। সচরাচর আমরা কন্টেন্ট তৈরি করার সময় হয় শুধু ভিডিও অথবা টেক্সট কন্টেন্ট তৈরি করি। তবে দুটো যখন একই সাথে একটি কন্টেন্টে ব্যবহার করা হয় তখন বেশি পরিমানে ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

লোকাল বিজনেসের রিভিউ যাচাই করার জন্য কাস্টমার সব থেকে বেশি বিশ্বাস করে গুগলকে
আপনি গুগল ম্যাপে লোকেশনের উপরে রিভিউ দিতে পারবেন। অন্যদিকে গুগল মাই বিজনেসের মাধ্যমে কোন লোকাল বিজনেস সম্পর্কে ভালো অথবা মন্দ মতামত দিতে পারবেন। এখানে প্রান্তিক পর্যায়ের ইউজার রিভিউ দিতে পারে যে কারণে কাস্টমার একে বিশ্বাস করে বেশি।
#১ লোকাল প্যাক পজিশন, পেইড অ্যাড এবং অন্যান্য সার্চ রেজাল্ট থেকে বেশি CTR (Clickthrough Rate) পায়।
এই সার্চ সেকশনে গুগল টপ ৩ বিজনেস দেখায়। যেখানে গুগল ম্যাপের লোকেশন সহ বিজনেস সম্প্রকিত অন্যান্য তথ্য থাকে। এখন সার্চ কোয়েরির সাথে আপনার বিজনেসের যত বেশি মিল থাকবে এই সেকশনে আপনার সাইট আসার সম্ভাবনা তত বেশি। যে কারণে লোকাল প্যাক পজিশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং সব থেকে বেশি CTR পায়।
বিজনেস রিসার্চ করার জন্য ৭৭% কাস্টমার কমপক্ষে ২টা রিভিউ প্লাটফর্ম ব্যবহার করে
বিজনেস রিসার্চ আসলে অনেক স্পর্শকাতর বিষয়। কারণ এখানে অনেকগুল টার্ম থাকে যা আমাদের যাচাই করে দেখতে হয়। এখানে ভুল করলে মুল বিজনেস স্ট্রাটেজিতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যে কারণে প্রায় ৭৭% রিসার্চার কোন বিজনেস সম্প্রকে ধারনা নিতে গেলে কমপক্ষে ২টি রিভিউ প্লাটফর্ম থেকে যাচাই করে থাকে।
৫০% ইউএস কাস্টমার সার্চ করার জন্য ভয়েস সার্চ অপশন ইউজ করে
সাম্প্রতিক তথ্যমতে ৫০% থেকেও বেশি ইউএস ভিজিটর সার্চ করার জন্য টেক্সট এর বদলে ভয়েস ইউজ করে। অর্থাৎ তারা সার্চ করার জন্য লেখার বদলে ভয়েস সার্চ ইউজ করে। সঠিক সার্চের মাধ্যমে তথ্য খুঁজে পেতে এটি অনেক কার্যকরী।
এসইও করার জন্য ২৫% কোম্পানির ইন হাউজ স্পেশালিষ্ট থাকলেও ২৭% ফ্রীল্যান্সার থেকে সার্ভিস নেয়
ইনহাউজ স্পেশালিষ্ট থাকলে কাজের গতি যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি অনেক ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। আপনি চাইলে বাইরে থেকেও এই ধরনের ট্যালেন্ট আউটসোর্স করে আপনার প্রোজেক্টের জন্য এসইও করে নিতে পারবেন। পরিসংখ্যান অনুজায়ি বর্তমানে কোম্পানিগুলো ২৫% ইনহাউজ স্পেশালিস্ট রাখে অন্যদিকে ২৭% আউটসোর্স করে।
একজন ভালো মানের ফ্রিল্যান্স এসইও স্পেশালিষ্ট বছরে ৬০ হাজার ডলারের উপরে আয় করে
ফ্রীল্যান্সার হিসেবে এসইও নিয়ে সার্ভিস দিয়ে একজন স্পেশালিষ্ট বছরে প্রায় ৬০ হাজার ডলার ইনকাম করতে পারে। এই সেক্টরে অনলাইনে ইনকামের জন্য আপনি এজেন্সি অথবা ইনহাউজ হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
৮৪% ব্লগারের মতে এআই এবং অটোমেশন এসইও স্ট্রাটেজিতে প্রভাব ফেলেছে
যখন চ্যাটজিপিটি রিলিজ হয় তখন থেকে মানুষের মধ্যে একধরনের আতংক কাজ করা শুরু করে। দিন যত যাচ্ছে এই প্রযুক্তি তত উন্নত হচ্ছে। যে কারণে কন্টেন্ট তৈরি করা থেকে শুরু করে তা সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজ করার পদ্ধতিতে পরিবর্তন চলে এসেছে। এই কারণে প্রায় ৮৪% ব্লগার মনে করে এআই এবং অটোমেশন এসইও স্ট্রাটেজিতে প্রভাব ফেলেছে।
এসইও একটি গতানুগতিক পদ্ধতি। সঠিকভাবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারলে খুব অল্প খরচে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। উপরিউক্ত আলোচনায় এসইও সম্পর্কিত বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও ট্রেন্ড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যা থেকে আপনি ২০২৪ সালের এসইও পরিসংখ্যান ও ট্রেন্ড সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন।