You are currently viewing এসইও কি? সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান সম্পর্কে A টু Z
  • Post category:SEO
  • Post comments:1 Comment
  • Reading time:9 mins read

এসইও কি?

একটা সময় ছিলো যখন আমরা এসইও সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা রাখতাম না। কিন্তু এখন আমরা এসইও সম্পর্কে কমবেশি সকলেই জানি। এসইও কি? এসইও এর পূর্ণরূপ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যার সংক্ষিপ্ত রূপ এসইও বা SEO। আমরা আমরা এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) বা এসইও  বলতে বুঝায় কোন ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেজকে সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাঙ্ক এ নিয়ে আসা। জেনো কেউ সার্চ করলে সহজেই তা খুঁজে পায়। প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিন এর কিছু নিয়মকানুন আছে, যা অনুসরণ করে একজন এসইও এক্সপার্ট তার অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে একটি ওয়েবপেজকে র‌্যাঙ্ক এ নিয়ে আসেন। বর্তমানে অ্যাডস এর বিপরীতে এসইও কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। 

সহজভাবে বলতে গেলে, গুগল, বিং সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে আমরা কিছু নিয়ে সার্চ করলে যে রেজাল্ট পাই তাকে বলা হয় SERPs (Search Engine Result Pages)। আর একজন এসইও এক্সপার্ট তার ওয়েবসাইটটিকে SERPs-এ প্রথম দিকে নিয়ে যান। 

কেন এসইও শিখবেন?

Forbes এর তথ্যমতে বর্তমানে পৃথিবীতে ১.০৯+ বিলিয়ন এর বেশি ওয়েবসাইট রয়েছে এবং আপনি জানলে অবাক হবে যে প্রতিদিন প্রায় ২৫২০০০+ নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। বুঝতে পারছেন ব্যাপার টা কি ঘটছে? আরেকটা তথ্য দিতে চাই। Emergen Research এর তথ্য মতে, এসইও এর মার্কেট ভ্যালু যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ২০২৮ সাল নাগাদ তা $৬,৮৬৫,৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে।

আপনি আপনার আছে পাসে খেয়ার করে দেখেন সব রকম ব্যবস্যায় প্রতিষ্ঠান থেকে সুরু করে পুরাতন আমলের পত্রিকা সকলেই তাদের ডিজিটাল পদচারণর জন্য নতুন করে ওয়েবসাইট তৈরি করে নিচ্ছে। এখন প্রশ্ন হল, এত ওয়েবসাইট এর ভিড়ে আপনি কিভাবে নিজেকে তুলে ধরবেন? 

ঠিক এই কাজটাই করতে হয় একজন এসইও এক্সপার্টকে। চাই বলাই বাহুল্য যে দিন দিন এসইও এক্সপার্ট এর চাহিদা কতখানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

এসইও কত প্রকার ও কি কি?

এসইও কত প্রকার ও কি কি 1

এসইও অথবা Search Engine Optimization এর বিভিন্ন শাখা প্রশাখা রয়েছে। এই সকল শাখা-প্রশাখাকে কেন্দ্র করে এসইও পূর্ণতা পায়। পূর্বে এসইও এর অনেক প্রকারভেদ থাকলেও এখন মূলত কয়েকটি মৌলিক বিসয়ের উপর বেশি নজর দেওয়া হয়। আজকে আমরা এসইও এর প্রধান বিষয় গুলো নিয়ে জানবো এবং কিভাবে তা কোন ওয়েবপেজ বা ওয়েবসাইট কে র‍্যাঙ্ক এ নিয়ে আসতে সাহায্য করে তা জানবো। 

কীওয়ার্ড রিসার্চ

সহজভাবে বলতে গেলে আপনি আমি আমরা কোন সার্চ ইঞ্জিন এ যা লিখে সার্চ করি তাকেই বলা হয় কীওয়ার্ড। একটি কীওয়ার্ড মুলত একটি ওয়েবপেজ বা কন্টেন্ট এর বাহক। কীওয়ার্ড বিষয়টি সহজ মনে হলেও, কীওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করেই একটি ওয়েবসাইট এর এসইও কার্যক্রম শুরু করা হয়। 

কীওয়ার্ড রিসার্চ বিষয়টি একটু জটিল। কীওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় একজন এসইও এক্সপার্টকে অনেক বিষয় বিবেচনা করতে হয়। যেমনঃ

  • টার্গেটেড ভিজিটর
  • কীওয়ার্ড সিলেকশন
  • সার্চ ভলিউম
  • কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি

কীওয়ার্ড তার আকার এবং ধরনের উপর ভিত্তি করে অনেক প্রকার হয়ে থাকে। যেমনঃ

  • শর্ট-টেইল কিওয়ার্ড
  • লং-টেইল কিওয়ার্ড
  • লোকাল কিওয়ার্ড
  • ব্র্যান্ড কিওয়ার্ড
  • নেতিবাচক কিওয়ার্ড
  • রিলেটেড কিওয়ার্ড

টেকনিক্যাল এসইও

টেকনিক্যাল এসইও মূলত এমন একটি পক্ক্রিয়া যা একটি ওয়েবসাইট এর টেকনিক্যাল সমস্যা গুলো সমাধান করে ক্রলার এবং ভিজিটর এর ভিজিবিলিটি সহজ করে দেয়। আমরা যখন কোন একটি ওয়েবপেজ পাবলিশ করি তখন কিন্তু তা সরাসরি সার্চ ইঞ্জিন এ ইনডেক্স হয় না। পাবলিশ করার পর সার্চ ইঞ্জিং এর রোবট (যেমন গুগল এর রোবট কে বলা হয় গুগল ক্রলার) তা পর্যালোচনা করে এবং ইনডেক্স করে উন্মুক্ত করে দেয়। 

ওয়েবসাইট এ টেকনিক্যাল সমস্যা থাকলে তা সমাধান করাকে বলা হয়, টেকনিক্যাল এসইও। টেকনিক্যাল এসইও এর মুল ক্ষেত্র হল, ক্রলিং এবং ইনডেক্সিং, লিংক স্ট্রাকচার, পেজ লোডিং স্পীড, মোবাইল সহজলভ্যতা, পেজ শিরোনাম এবং মেটাডেসক্রিপশন ইত্যাদি উন্নত করা। 

অন-পেজ এসইও

অন-পেজ এসইও বলতে বুঝায় ওয়েবসাইট এর অভ্যান্তরীন দিক গুলো অপ্টিমাইজ করা, যেন ক্রলার তা সহজেই বুঝতে পারে এবং একই সাথে ভিজিটর যেন তা স্বাচ্ছন্দ্যে নিতে পারেন। অন-পেজ এসইও এর মৌলিক ব্যাপার হল সার্চইঞ্জিনের নিয়ম অনুসারে সবকিছু সাজানো। আপনার এবং সার্চ ইঞ্জিন এর মধ্যে যোগাযোগ এর মাধম এই অন-পেজ। অন-পেজ দ্বারা আপনি সার্চ ইঞ্জিন কে বুঝাতে পারেন যে আপনি কি কীওয়ার্ডের জন্য র‍্যাঙ্ক চাচ্ছেন। অতএব এসইও এর মধ্যে অন-পেজ এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ তা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে প্রাথমিক এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

অন-পেজ এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমুহঃ 

  • টাইটেল
  • ইউআরএল কাঠামো
  • হেডিং ট্যাগ
  • কন্টেন্ট লেন্থ
  • কীওয়ার্ড স্টাফিং
  • ইন্টারনাল লিংক এর ব্যবহার
  • এক্সটার্নাল লিংক এর ব্যবহার
  • ইমেজ অপ্টিমিজেশান
  • মেটা টাইটেল
  • মেটা ডেসক্রিপশন

অফ-পেজ এসইও 

ওয়েবসাইট এর বাইরে গিয়ে অপটিমাইজেশন এর যেসব কাজ করা হয় তাকে বলা হয় অফ-পেজ এসইও। SERP পেজ এ নিজের ওয়েবসাইট এর অবস্থান শক্ত করতে অফ-পেজ এসইও এর গুরুত্ব অপরিসীম। ডোমেইন অথোরিটি বৃদ্ধি করতে এবং ব্রান্ড তৈরি করতে একটি সুন্দর অফ-পেজ এসইও ক্যাম্পেইন এর ভূমিকা অপরিসীম। অফ-পেজ এসইও এর মুল বিষয়গুলো হল: 

  •  লিংক বিল্ডিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ব্রান্ডিং
  • রেপুটেশন ম্যানেজমেন্ট
  • ওয়েব মেনশন ইত্যাদি।

উদাহরণ হিসেবে বলতে গেলে, আমরা অনেক সময় অনেক প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিজেদের কাছে না থাকলে অন্য কোন প্রতিষ্ঠান কে সাজেস্ট করে থাকি ক্রেতাদেরকে। এভাবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রচারনা বৃদ্ধি পায়। ঠিক একই ভাবে অফ-পেজ এসইও ওয়েবসাইট এর প্রচারণা বৃদ্ধির পাসাপাসি SERP পেজ নিজের অবস্থান শক্তপোক্ত করে থাকে। 

হোয়াইট হ্যাট এসইও ও ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কি?

হোয়াইট হ্যাট এসইও ও ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কি 2

হোয়াইট হ্যাট এসইও বলতে বুঝায় নৈতিক এসইও। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন এর নিয়ম নিতি অনুসরণ করে সঠিক উপায়ে একটি ওয়েবসাইট কে অপ্টিমাইজ করা হলে তাকে বলে হোয়াইট হ্যাট এসইও। এই ধরনের এসইও হয়তবা খুব তাড়াতাড়ি আপনার ওয়েবসাইট এ ভিজিটর এনে দিতে পারবে না তবে এতে করে আপনি দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল পাবেন এবং কোন প্রকার ঝুঁকি থাকবে না। 

অপরদিকে, ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এর প্রধান কাজ হচ্ছে শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিনে নিজেদের অবস্থান শক্ত করা এবং তাড়াতাড়ি র‍্যাঙ্ক এ নিয়ে আসার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করা। ব্ল্যাক হ্যাট এসইও তে ভিজিটর এর সুবিধার কথা বিবেচনা করা হয় না। ব্ল্যাক হ্যাট এসইও মূলত সার্চ ইঞ্জিন এর নিয়ম ভঙ্গ করে থাকে নিজেদের লক্ষে পৌঁছানোর জন্য যা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির কারণ হয়ে দ্বারায়। 

এসইও টুলস এবং রিসোর্স

এসইও একটি চলমান পক্রিয়া এবং বিশেষ কিছু ছোট ছোট বিষয়কে নিয়ে গঠিত, যা উপরে আলোচনা করা হয়েছে। এসইও এর প্রতিটি শাখার কাজ করার জন্য বিশেষ কিছু টুলস এর প্রয়োজন পরে। এতে করে কাজ সহজ এবং সময় সাশ্রয় হয়। 

মূলত এসইও এর কাজকে সহজ এবং সময় সাশ্রয় করতে টুলস এর প্রয়োজন হয়। রিসোর্স আপনাকে সঠিক পথ দেখাবে, যেমন Google  এ রাঙ্ক করার জন্য Google নিজে থেকে তাদের Ranking Factor প্রকাশ করেছে এবং প্রতিনিয়ত আপডেট করে থাকে। 

জনপ্রিয় এসইও টুলস

জনপ্রিয় কিছু এসইও টুলস এর তালিকাঃ

  • Google Search Console
  • Google Analytics
  • Moz Pro
  • Ahrefs
  • SEMrush
  • Screaming Frog
  • Sitebulb
  • PageSpeed Insights
  • Yoast
  • KWFinder

এইসব টুলস কীওয়ার্ড রিসার্চ, টেকনিক্যাল এসইও, অন-পেজ এসইও এবং অফ-পেজ এসইও এর কাজ সহজ করে দেবে। তবে একটি কথা বলে রাখা ভালো, টুলস আপনাকে হয়ত তথ্য দিয়ে সহয়ায়তা করবে কিন্তু আপনি কোন তথ্য কিভেবে ব্যবহার করে নিজের কাজে লাগাবেন তা নির্ভর আপনার অভিজ্ঞতার উপর। 

কিভাবে কার্যকরভাবে SEO টুলস ব্যবহার করবেন

বেশিরভাগ টুলস পেইড, অর্থাৎ এগুলো ব্যবহার করার জন্য আপনাকে পয়সা গুনতে হবে। অনেক টুলস ফ্রী তে ব্যবহার করা যায় বা ট্রায়াল দেয়ার ব্যবস্থা থাকে। টুলস এ অ্যাক্সেস করার পর আপনি প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে তা যাচাই বাছাই করে তবেই কাজে লাগাবেন। এইটা হচ্ছে টুলস ব্যবহার করার প্রধান এবং প্রাথমিক শর্ত। 

Free vs Paid টুলস

ফ্রী টুলস গুলর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে কিছু ভালো ভালো টুলস রয়েছে যা ফ্রী হলেও অনেক ভালো কাজে আসে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় Similarweb এর কথা। আপনার ওয়েবসাইট ছোট হয়ে থাকলে আপনি ফ্রী তেই সব টুলস দিয়ে কাজ করে নিতে পারবেন। সকল প্রকার অ্যাক্সেস পেতে পেইড টুলস এর বিকল্প নেই। 

এসইও এর ভালো এবং খারাপ দিক 

আমরা জানি প্রতিটি কার্যকলাপ এর ২ টি দিক থাকে। ভালো এবং খারাপ। এসইও তার বিকল্প নয়। ধরুন আপনি একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন ব্যাবসিক উদ্দেশে। আপনি চাচ্ছেন আপনার ওয়েবসাইট এ দ্রুত ভিজিটর আসুক এবং আপনার সেল বৃদ্ধি পাক। এই কন্ডিশন এসইও আপনার কাজে আসবে না সেভাবে, আপনি হয়ত তখন অ্যাডস এর দিকে জেতে চাইবেন। 

আবার আপানি যদি আপনার ওয়েবসাইট এর দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন চান তাহলে এসইও এর বিকল্প খুঁজে পাবেন না সেভাবে। অতএব প্রয়োজন বুঝে সিদ্ধান্ত নিলে খারাপ দিক গুলো এড়িয়ে ভালো-দিকের সুবিধা চাইলেই নেওয়া যায়। 

এসইও এর ভালো দিক সমূহ 

নিচে এসইও এর ভালোদিক সমূহ নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলঃ 

অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি 

এসইও মূলত কাজ করে থাকে অরগানিক ভিজিটর বৃদ্ধি করার জন্য। কাজেই আপনার লক্ষ যদি হয় অরগানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করার তবে আপনি এসইও  এর মাধবে তা করতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে এসইও  এর বিকল্প কিছু নেই। 

অধিক কনভার্সন রেটস

যেহেতু অ্যাডস দিয়ে আমরা কোন ভিজিটর কে বাদ্ধগতভাবে আমাদের ওয়েবসাইট এ নিয়ে আসি, এর বিপরীতে একজন ভিজিটর তার ইচ্ছেমত আমাদের ওয়েবসাইট এ আসেন তাই তার কনভার্ট হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বিষয়টি সহজ এবং সুন্দর তাই না? 

দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল

আবার আমরা অ্যাডস এর উদাহরণ এর দিকে যাব! অ্যাডস মূলত আপনার স্পেন্ড করার উপর ট্রাফিক দিবে, এর ফলাফল স্বরূপ আপনি যতদিন অ্যাডস চালাবেন ততদিন আপনি একটা ভালো ফলাফল পেতে পারেন তবে আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদী ফল আসা করেন বা আপনার ডোমেইন এর অথরিটি বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনার উচিত হবে এসইও তে ভরসা রাখা। 

এসইও এর খারাপ দিক সমূহ 

এসইও এর প্রধান খারাপ দিক, আপনি দ্রুত ফলাফল আশা করতে পারবেন না, একটা সময় পরে যখন আপনি ফলাফল পাবেন তখন আবার সার্চ ইঞ্জিন এর পক্ষ থেকে কোন এক নতুন আপডেট আসলে আপনার জন্য তা ক্ষতির কারণ হলেও হতে পারে। 

এসইও এর ভবিষ্যৎ

এসইও এর ভবিষ্যৎ 3

আমরা প্রথমের দিকে আলোচনা করেছি যে এসইও কেন শিখবেন? সেখানেই বিষয়টি অনেকটা ক্লিয়ার করে দেওয়া হয়েছে! তবুও যদি মনে প্রশ্ন থেকে যায় এসইও এর ভবিষ্যৎ কেমন হবে তাহলে আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, Forbes এর তথ্যমতে বর্তমানে পৃথিবীতে ১.০৯+ বিলিয়ন এর বেশি ওয়েবসাইট রয়েছে এবং আপনি জানলে অবাক হবে যে প্রতিদিন প্রায় ২৫২০০০+ নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। এবং প্রতিনিয়ত অনলাইন এ সব কিছুর পদচারণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব রকমের ব্যবসা, অব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অনলাইন এ আসার ফলে এখানে কম্পিটিশন অনেক বৃদ্ধি পাবে এর সাথে এসইও এক্সপার্ট এর চাহিদাও বৃদ্ধি পাবে ঈর্ষান্বিত ভাবেই!

এখন প্রশ্ন করেন কেন?
ওয়েবসাইট বৃদ্ধির ফলে এত এত ওয়েবপেজ এর ভিড়ে SERP পেজ এ আসার জন্য প্রত্যেক ওয়েবসাইট এর একজন এসইও এক্সপার্ট প্রয়োজন হবেই। কাজেই আপনি বুঝতেই পারবেন ভবিষ্যতে টার্গেট কাস্টমর বা ভিজিটর এর কাছে পৌঁছানোর জন্য এসইও এর ভবিষ্যৎ তা কেমন হতে পারে!

উপসংহার

পরিশেষে বলতে চাই, এসইও মূলত একটি ওয়েবপেজ বা ওয়েবসাইট কে তার ভিজিবিলিটি বাড়ানোর পাশাপাশি ট্রাফিক আনতে সহায়তা করে থাকে এবং এর ফলে ব্যবসা বা অব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌঁছানোর পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল লাভ করে থাকেন। এসইও এমন একটি সেক্টর যার সামনে আরও ভালো ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে এবং কেউ যদি এই ইন্ডাস্ট্রি তে নিজেকে যুক্ত করতে চায় তাহলে তা হবে সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত।

This Post Has One Comment

  1. Tuhin Islam Asif

    Thanks for your informative blog .

Leave a Reply